লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েত
বোর্ড গড়তে নির্দলই ভরসা শাসক-বিরোধীর
গ্রাম পঞ্চায়েত আসন দখলের লড়াইয়ে লাঙল চিহ্নে দাঁড়িয়ে উভয়েই জয়ী হয়েছেন সিপিএম ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতে সেই বিজয়ী দুই নির্দল প্রার্থীকেই এখন নিজেদের দলে টেনে বোর্ড গড়ার লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে শাসক-বিরোধী দুই দলই। এ বার ওই পঞ্চায়েতের ফলাফল সিপিএম ৫, তৃণমূল ৪, নির্দল ২। অর্থাত্‌ ত্রিশঙ্কু অবস্থা। এই অবস্থায় কোন দল এই দর কষাকষিতে সফল হয়, এলাকায় এই নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। দুবরাজপুর ব্লকের দশটি পঞ্চায়েতের মধ্যে আটটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাকি দু’টির মধ্যে গোহালিয়াড়া পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে। ঝুলে থাকা লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের দখল নিজেদের হাতে তুলে নিতে মরিয়া দু’ পক্ষই। সহজ সমীকরণ হল— সিপিএম যে কোনও একটি নির্দল প্রার্থীকে ভাঙাতে পারলেই কাজ শেষ। অন্য দিকে, বোর্ড গড়তে তৃণমূলের চাই দু’টিই আসন। ফলে কদর বড়ছে নির্দল প্রর্থীদের।
রাতারাতি কদর বেড়ে যাওয়া উপভোগ করছেন দুই নির্দল প্রার্থী পণ্ডিতপুর সংসদ থেকে জেতা রণজিত্‌ বাগদি এবং আদমপুর থেকে জেতা লিথুফা বিবি। তবে কদর বেশি রণজিতবাবুরই। কারণ, রণজিতবাবু এই নিয়ে তিন বার লাঙল চিহ্নে জিতলেন এবং তিন বারই ‘বিশুদ্ধ’ নির্দল প্রার্থী হিসেবে। লিথুফা বিবি তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় এ বার দাঁড়িয়েছিলেন নির্দল হিসেবে। সোজা কথায় বললে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল। প্রসঙ্গত, ১১টি আসনের সবকটিতেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রর্থী দিয়েছিল। কিন্তু একমাত্র আদমপুর ছাড়া আর কোথাও জেতেননি বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বা নির্দল প্রার্থী। সেটা হয়েছে শেখ রফিউল নামে গতবার তৃণমূলের টিকিটে জেতা প্রার্থীর জন্যই। এমনকী পঞ্চায়েত সমিতির আসনেও নিজের স্ত্রীকে জিতিয়ে এনেছেন তিনি। দলীয় টিকিট না পাওয়ায় স্ত্রীকেও নির্দলে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। ফলে আদমপুর থেকে জেতা নির্দল প্রার্থী কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে সেটা কার্যত নির্ভর করছে রফিউলের উপরেই। কারণ, লিথুফা বিবি রফিউলের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। এমনকী তৃণমূলের হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই প্রার্থী তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় তিনি তাঁকে নির্দল হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন। রফিউলের কথায়, “আমি তৃণমূলই করি। টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে নির্দলে প্রার্থী দিয়েছিলাম। মানুষ জিতিয়েছেন। দল যদি নির্দল প্রার্থীকে যোগ্য মর্যাদা দেয় তা, হলে কোনও সমস্যা নেই।”
এ ক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন অবশ্যই উঠছে, দল যদি যোগ্য মর্যাদা না দেয়, তা হলে কী রফিউল দলকে সমর্থন করবেন না? এর উত্তর অবশ্য মেলেনি। আর তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রথম দিকে কিছুটা জড়তা থাকলেও রফিউলের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করছে দল। তৃমমূলের দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্র বলেন, “বোর্ড আমরাই গড়ছি। ইতিমধ্যেই একজন আমাদের দলে এসে গিয়েছেন। কোনও শর্ত ছাড়াই সেটা হয়েছে।” প্রধান বা উপপ্রধান নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দল যদি কাউকে যোগ্য মনে করে, তখন তিনিই প্রধান হবেন।” আর রণজিতবাবুর নজর প্রধান বা উপপ্রধান পদের দিকে। তাঁর কথায়, “প্রধান হওয়ার সুযোগ রয়েছে আমার।” সিপিএমের যেহেতু একটি আসন দরকার, তাই তাদের প্রথম পছন্দ রণজিত্‌ বাগদিই। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অরুণ মিত্র বলেন, “দলের স্পষ্ট নির্দেশ, বিশুদ্ধ নির্দল কোনও প্রার্থী আমাদের সমর্থন করলে তবেই আমরা বোর্ড গড়ব। অন্যথায় বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.