বিয়ের আগের দিন নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে বিয়ে রুখল পুলিশ এবং জেলা শিশুকল্যাণ সমিতি। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ঘাঘরা এলাকায় শনিবারের ঘটনা। ঘাঘরার এক নাবালিকার বিয়ে স্থির হয়েছে বলে খবর পেয়ে এ দিন সকালে তার বাড়িতে পৌঁছে যান সমিতির সদস্যেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন হেমতাবাদ থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু দাসও। আজ রবিবার, ওই নাবালিকার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ১৫ বছরের ওই নাবালিকার সঙ্গে এলাকারই বাসিন্দা এক যুবকের বিয়ে স্থির হয়েছিল। শনিবার সকালে সমিতির সদস্যরা নাবালিকার পরিবারের লোকের কম বয়েসে বিয়ে দেওয়ার কুফল সম্পর্কে বোঝান। এর পরে তাঁরা মেয়েটির এখন বিয়ে দেবেন না বলে জানান। সে কথা মুচলেকা দিয়ে লিখেও দেন তাঁরা। মুচলেকায় পরিবারের তরফে জানানো হয়, নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওই নাবালিকার বিয়ে দেবেন না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাবা একটি ইট ভাটায় কাজ করেন। ৩ ছেলেমেয়ের মধ্যে ওই কিশোরীই বয়সে বড়। পরিবারে আর্থিক অনটনের কারণেই বড় মেয়ের বিয়ে স্থির করেন বলে তার বাবা সমিতির সদস্যদের কাছে দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর দাবি, ১৮ বছরের আগে যে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় না, তা তিনি জানতেন না। জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুনীলকুমার ভৌমিক বলেন, “বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই নাবালিকার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়ে আটকানো গিয়েছে। মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে কিশোরীর বাবা মুচলেকা দেওয়ায় তাকে পরিবারের কাছেই রেখে দেওয়া হয়েছে।” হেমতাবাদ থানার ওসি কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “যাঁর সঙ্গে নাবালিকার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তিনিও সবকিছু জানার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন।” |