টুকরো খবর
বরুণের আগে সিঙ্গুরে কংগ্রেস
ভাইকে টক্কর দিতে নেমে পড়ছে দাদার দল। মঙ্গলবার সিঙ্গুরে যাওয়ার কথা বরুণ গাঁধীর। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে দলের পশ্চিমবঙ্গ শাখার পর্যবেক্ষক বরুণের সিঙ্গুরযাত্রা। তাঁকে এ রাজ্যে পাঠিয়ে কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলাই বিজেপির মূল লক্ষ্য। সে জন্য বরুণের আগেই তাঁর দাদার দল কংগ্রেস সিঙ্গুরে গিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে মরিয়া। আজ, রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সিঙ্গুর যাবে। তবে তাদের এই সিঙ্গুর-যাত্রা কোনও ভাবেই বরুণের পাল্টা নয় বলে দাবি কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের। তাঁর বক্তব্য, “রমজান মাস শেষ হলেই সিঙ্গুরে যাওয়ার কর্মসূচি আগেই ঠিক করেছিলাম। বরুণ গাঁধীর সিঙ্গুরে যাওয়ার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।” সিঙ্গুরের কাপাসারিয়া এলাকায় প্রায় ১১৭ একর কৃষিজমি দখল হয়েছে বলে অভিযোগ। সে সব জমি বুজিয়ে প্রোমোটারির চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। জমি হারানো সে সব কৃষকের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি দেখে তাঁদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে কংগ্রেস সচেষ্ট। জেলাশাসক ও পুলিশের কাছে জমির সুরক্ষা চেয়েও কৃষকেরা তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। কৃষকদের থেকে কেন উর্বর কৃষিজমি নেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন তুলে প্রদীপবাবুর প্রশ্ন, “বাড়ি তৈরিতে কেন কৃষকের জমি নেওয়া হবে? রাজ্য কেন এ কাজ বন্ধ করছে না?”

পুরনো খবর:
মমতাকে চটাতে নারাজ বিজেপি
লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে মমতা-বিরোধী অবস্থান নেবেন না বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বরুণ গাঁধী আগামী কাল কলকাতা পৌঁছচ্ছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই বরুণের প্রথম কলকাতা সফর। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি এই প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে আলোচনায় বসবেন। যাওয়ার আগে বরুণ দলের সভাপতি রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলি, নরেন্দ্র মোদী-সহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিজেপি-র বেশ কিছু রাজ্য নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কঠোর সমালোচক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন্হাও। বরুণ এ বার রাজ্য নেতাদের বোঝাবেন, রাজ্য সরকারের কাজকর্মের সমালোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু, খোদ মমতা সম্পর্কে সমালোচনামূলক মনোভাব নেওয়া ভুল কৌশল হবে। কারণ, বিজেপি জাতীয় দল। তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। এ অবস্থায় মমতাকে দুর্বল করে লোকসভা ভোটে কংগ্রেস বা সিপিএমের আসন বাড়াতে চায় না বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিজেপি কর্মীদের দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দেবেন বরুণ। তাতে আমজনতার কাছে বিজেপি কর্মীদের দায়বদ্ধতার বার্তা দেওয়া যাবে। বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, ভোটের আগে মমতার সঙ্গে রফা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু, ভোটের পরে অকংগ্রেসি সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে মমতার সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে রাজি নন তাঁরা।

কয়েক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৯ জনের
যাত্রিবোঝাই বাসের সঙ্গে মোটরবাইকের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন বাইক আরোহীর। শনিবার বিকেলে গাইঘাটার মণ্ডলপাড়ায় যশোহর রোডে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, বনগাঁর দিকে আসছিল বাসটি। মোটরবাইকটি যাচ্ছিল বারাসতের দিকে। তাদের নাম নিখিল বিশ্বাস (৩০), পবিত্র মণ্ডল (২৮), বাসুদেব শীল (২৫)। বাড়ি বনগাঁ থানার কালোপুর এলাকায়। বিয়ের সম্বন্ধ দেখতে যাওয়ার পথে সন্দেশখালি থানার বয়ারমারিতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই মোটরবাইক আরোহীর। মৃতেরা হলেন মিনাখাঁর ঘোনারবনের হায়দার গাজি (১৮), সাবির মোল্লা (২০)। তাঁদের আর এক সঙ্গী মিনাখাঁ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় নরেন্দ্র সিনেমা হল মোড়ের কাছে মুম্বই রোডে বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। নাম যুগল মণ্ডল (৭০)। বাড়ি বাণীতলায়। শনিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানার মণ্ডলকুপি এলাকায়, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন মোটর বাইক আরোহীর। মৃতদের নাম রঞ্জন দিগার (২৩), টুটু মাহাতো (২১) এবং রবিলোচন পাল (৩০)। উত্তেজিত স্থানীয় মানুষ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।

তরুণ সদস্য সংগ্রহে উদ্যোগী বিজেপি
লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে তরুণ প্রজন্মকে দলে টানতে উদ্যোগী হল বিজেপি। আগামী ১৪ অগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলে নতুন এক লক্ষ তরুণ সদস্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গ যুব মোর্চা। যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিতিন নবীন এবং সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অমিতাভ রায় শনিবার জানান, ১৪ তারিখ কলেজ স্কোয়্যার থেকে সদস্য সংগ্রহ শুরু হবে। পরে জেলায় জেলায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে ওই কর্মসূচি। তাঁর আরও ঘোষণা, “উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষরোপণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৫-২৩ অগস্ট ওই কর্মসূচি চলবে।”

দু’দিনের বাস ধর্মঘটের ডাক
বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে দু’দিনের ধর্মঘটের ডাক দিল বাস মালিকদের সংগঠন। সংগঠন সূত্রে খবর, ১৯ এবং ২০ অগস্ট গোটা রাজ্যেই ধর্মঘট হবে। শনিবার জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস এর কার্যালয়ে বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা একটি বৈঠকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেন। ওই সংগঠনের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক বছরে ডিজেলের দাম বেড়েছে ন’বার। যন্ত্রাংশেরও দাম বেড়েছে। আর বাস চালানো যাচ্ছে না। তাই ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হলাম।” বাস মালিকদের অন্য সংগঠন বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটও ধর্মঘট সমর্থন জানাতে পারে বলে খবর। মিনিবাস মালিক সংগঠন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “বাস মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি। তবে সরকার এখন ভাড়া বাড়াতে পারবে না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.