এএফসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামার আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ মার্কোস ফালোপা। শনিবার যুবভারতীতে সুবার্বানকে প্রস্তুতি ম্যাচে ৭-২ গোলে হারানোর পরে লাল-হলুদ কোচ বলে দিলেন, “আমরা যেমন এএফসি-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, তেমনই আমাদের বিপক্ষ দলও নিশ্চয়ই নিজেদের প্রস্তুতিতে কোনও কমতি রাখছে না। এখন আমাদের উচিত আরও শক্ত দলের বিরুদ্ধে প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলা। খুব ভাল হয়, যদি কোনও আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া যায়।”
ফালোপার মনে ইচ্ছা জাগলেও, ইস্টবেঙ্গল-কর্তারা কি ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারবেন? এই মুহূর্তে যে চরম আর্থিক মন্দার বাজার চলছে, তাতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে! লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “এত কম সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক ম্যাচ সংগঠন করা সম্ভব নয়। চেষ্টা করছি, যাতে এএফসি কাপের আগে অন্তত পাঁচ-ছ’টা কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলা যায়।” |
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারাতে ইস্টবেঙ্গল জিমে একাকী সুয়োকা। শনিবার।—নিজস্ব চিত্র |
আন্তর্জাতিক ম্যাচের ব্যবস্থা হোক না হোক, প্রথম বার এক সঙ্গে মাঠে নেমেই কিন্তু হিট চিডি-মোগা জুটি। এ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে চিডি একটি গোল করলেন, একটি করালেন মোগাকে দিয়ে। দুই স্ট্রাইকারের বোঝাপড়ার সমীকরণ দেখে ব্রাজিলিয়ান কোচ তো বলেই ফেললেন, “দেখে মনে হচ্ছিল না, ওরা দু’জন প্রথম বার এক সঙ্গে খেলছে। স্ট্রাইকারদের মধ্যে সঠিক বোঝাপড়া না থাকলে, গোল করা খুব কঠিন। চিডি-মোগার মধ্যে একটা আক্রমণাত্মক জুটি দেখতে পেলাম। তবে মোগাকে আরও ফিটনেস বাড়াতে হবে।” ইস্টবেঙ্গলের জন্য অবশ্য সুখবর, চিডিকে এ দিন ম্যাচ-ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন ক্লাবের ফিটনেস ট্রেনার কাম গোলকিপার কোচ আমেরিকো ফালোপা। তবে বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার জন্য আরও চার-পাঁচ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে সুয়োকাকে। শনিবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে প্রায় দেড় ঘণ্টা জিম করলেন জাপানি মিডিও।
এ দিকে, প্রথম দিনেই কোচের মন জিতে নিলেন উগা ওপারা। ফিটনেস ট্রেনিং থেকে শুরু করে প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে বোঝার উপায় নেই যে, তিনি এত দিন ছুটিতে ছিলেন। ওপারা নিজেও বললেন, “আমি নাইজিরিয়ায় নিয়মিত অনুশীলন করতাম। ফিটনেস ট্রেনিংয়ে ফাঁকি দিইনি।” তবে নতুন মুরসুমে নতুন দলের সঙ্গে কি মানিয়ে নিতে পারবেন ওপারা? লাল-হলুদের বিদেশি স্টপার জানালেন, “পেনকে বাদ দিলে প্রায় একই দল আছে। মেহতাব, খাবড়া, নওবা, সৌমিক, সবার সঙ্গেই আমার দারুণ বোঝাপড়া। নতুনদের মধ্যে আব্রাঞ্চিস, সুয়োকা, মোগাদের বিপক্ষে আমি খেলেছি। তাই জানি কতটা বিপজ্জনক ফুটবলার ওরা।” |