ফের ডিআরএস-বিতর্ক ফিরে এল অ্যাসেজে। এ বার ডিআরএস-কে ধন্যবাদ জানানোর পালা অস্ট্রেলিয়ার।
যে ডিআরএস নিয়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের প্রচুর ক্ষোভ, ক্রিকেটের সেই আধুনিক প্রযুক্তির বিচারককে এ বার পাশে পেলেন ক্লার্করা। বিতর্কিত হটস্পটেই প্রাণ পেয়ে ওপেনার ক্রিস রজার্স পৌঁছতে পারলেন তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় বয়স্কতম ক্রিকেটার হিসাবে সেঞ্চুরি পেলেন রর্জাস (৩৫ বছর)। সব থেকে বয়স্ক আর্থার রিচার্ডসন (প্রায় ৩৮ বছর)। ১৯২৬ সালে করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। |
ব্রডকে নিয়ে উচ্ছ্বাস কুকের। |
রজার্স এ দিন পাশে পেলেন এক সময়ে তাঁর সঙ্গী ওপেনার শেন ওয়াটসনকেও। দু’জনে মিলে অজিদের নিয়ে গেলেন লড়াইয়ের জায়গায়। শনিবার কম আলোর জন্য যখন খেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন আম্পায়াররা, তখন অস্ট্রেলিয়া ২২২-৫। ইংল্যান্ডের চেয়ে ১৬ রান দূরে। ক্রিস রজার্স ১০১ রানে অপরাজিত ও হ্যাডিন ১২ রানে ব্যাট করছেন। রজার্সের সঙ্গে ১২৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওয়াটসন ৬৮-তে ফিরে যান।
কিন্তু ডিআরএসের বদান্যতা ছাড়া বোধহয় এত দূর আসতেই পারতেন না রজার্স। শনিবার অস্ট্রেলিয়া যখন ৩২-২-য়ে, রজার্স যখন ২০ রানে, চেস্টার লি স্ট্রিটের রিভারসাইড গ্রাউন্ডে তখনই ঘটনাটা ঘটল, চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে। ইংল্যান্ড আগের দিনের ২৩৮ রানে শেষ হয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে ১২ রানের মধ্যে ওয়ার্নার, খোয়াজা-রা ফিরে যাওয়ার পর রজার্সের দিকেই তাকিয়ে সবাই। তাঁর কট বিহাইন্ডের আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার টনি হিল। রিভিউয়ে হট স্পটে দেখা যায় বল ব্যাটে লাগেনি, বরং পিছনের প্যাড ছুঁয়ে গিয়েছে। এ বার আসরে নামল হক-আই। দেখা গেল বলটা স্টাম্পের মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। তাতে এলবিডব্লু দিতেই পারতেন টিভি আম্পায়ার। কিন্তু আবেদন যেহেতু কট বিহাইন্ডের জন্য, তাই সেই আউট দেওয়া হল না। বেজায় খেপে যান ইংরেজ ক্রিকেটাররা। ক্যাপ্টেন কুককে অনেকক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় আম্পায়ারদের সঙ্গে। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলায়নি। |
|
|
দিনের শুরুতে রজার্সের বিরুদ্ধে উদ্বিগ্ন কুকের
আলোচনা আম্পায়ারের সঙ্গে। ডানদিকে, সেঞ্চুরির পর রর্জাস। |
|
এ ভাবে পুনর্জীবন পাওয়াটাই ক্রিস রজার্সের ইনিংসের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। উল্টো দিক থেকে ক্লার্ক ও স্মিথ পরপর আউট হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁর টিকে থাকাটাই অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া যখন ৭৬-৪-এ, তখন ওয়াটসনের ব্যাট করতে নামাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ম্যারাথন পার্টনারশিপের শুরু ওখান থেকেই। এর মধ্যে ওয়াটসন এক বার ব্রেসনানকে বেশ কঠিন এক রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে প্রাণ পান ও রজার্সের ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়া বল স্লিপে এক হাত বাড়িয়েও ধরতে পারেননি সোয়ান। জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর রজার্সের প্রতিক্রিয়া, “সত্যি বলতে কী, বেশ ভাল লাগছে। দুর্দান্ত।” |