|
|
|
|
স্বাধীনতা দিবস বয়কটের ডাক দিল জঙ্গিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
|
অন্যান্য বছরের মতোই এবারেও উত্তর-পূর্বের ১১টি জঙ্গি সংগঠন একত্রে স্বাধীনতা দিবস বয়কটের ডাক দিল। এর মধ্যে রয়েছে মণিপুরের ছ’টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ, ‘কো-অর্ডিনেসন কমিটি’-ও। মেঘালয়ের এইচএনএলসি, নামনি অসমের কেএলও, বড়োভূমির এনডিএফবি, ত্রিপুরার এনএলএফটি ও আলফা (স্বাধীন)। তাদের তরফে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “১৯৪৭ সালে ইংরেজ ঔপনিবেশিকদের কাছ থেকে ভারতীয় ঔপনিবেশিক শাসকদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে মাত্র। উত্তর-পূর্বের মানুষের কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা মোটেই আসেনি। এই দিনটি বিস্তর অর্থ ধ্বংস করে উদ্যাপন করে ভারত সরকার কেবল এক মরীচিকা সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন না করা অবধি লড়াই থামাব না।” ১৫ অগস্টের রাত ১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা অবধি বন্ধ ও স্বাধীনতা দিবসের সব অনুষ্ঠান বয়কট করার ডাক দিয়েছে যৌথ মঞ্চ। এনডিএফবি-র তরফেও একটি পৃথক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘে বর্ণিত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে অগ্রাহ্য করে বড়োল্যান্ড গঠনের পথে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে অসম ও কেন্দ্রের রাজনীতিকরা। মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড বা সাম্প্রতিক ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, ছত্তীস্গঢ় বা তেলঙ্গানা গঠিত হওয়ার পরে ভাষা-সংস্কৃতি ও ভৌগোলিক ভিত্তিতে স্বতন্ত্র বড়োল্যান্ড গঠনে সমস্যা ও বিতর্ক থাকার কথাই নয়। |
|
ব্রহ্মপুত্রের বুকে চলছে টহল। স্বাধীনতা দিবস বয়কটের ডাক দিয়েছে উত্তর-পূর্বের ১১টি
জঙ্গি সংগঠন।
পরেশপন্থী আলফা হামলাও চালাতে পারে বলে আশঙ্কা। —নিজস্ব চিত্র |
স্বাধীনতা দিবসে আলফার পরেশপন্থীরা নাশকতা ঘটাতে পারে বলে পুলিশের কাছে খবর এসেছে। জানা গিয়েছে, আলফার বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের একটি দল উজানি অসমে, অন্যটি মেঘালয় ও নামনি অসমের সীমানায় ঢুকেছে। পুলিশের কড়া নজরদারি চলছে। ডিমা হাসাও জেলাতেও সংগ্রামপন্থী ডিমাসা জঙ্গিরা আঘাত হানতে পারে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সেখানেও বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|