|
|
|
|
অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগের প্রতিবাদে ইস্তফা জগন-বিজয়ালক্ষ্মীর |
দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় • হায়দরাবাদ |
অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগের প্রতিবাদে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জগন্মোহন রেড্ডি। আজ জেল থেকেই তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন লোকসভার স্পিকারের কাছে। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁর মা ওয়াই এস বিজয়ালক্ষ্মীও।
নতুন তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের ব্যাপারে কংগ্রেসের ঘোষণার পরে ১১ দিন কেটে গিয়েছে। এর আগে এই বিষয়ে জগনের মতামত তেমন জানা যায়নি। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদীর অন্ধ্র সফরের ঠিক এক দিন আগে পদত্যাগ করলেন তিনি। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি-বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় ১৪ মাস ধরে জেলে রয়েছেন জগন।
কিন্তু কেন এত দিন পর তেলঙ্গানা গঠনের বিরোধিতায় নামলেন জগন?
জগনের দল ওয়াই এস আর কংগ্রেসের নেতাদের মতে, তেলঙ্গানা গঠনের ঘোষণার পর থেকেই উপকূল অন্ধ্র ও রায়লসীমায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে এখনও সেখানে রাস্তা রোকো, অনশন, প্রতিবাদ মিছিল চলছে। পোড়ানো হচ্ছে সনিয়া গাঁধীর কুশপুতুলও। কিছু কিছু এলাকায় তা হিংসাত্মক চেহারাও নিচ্ছে। হায়দরাবাদের গাড়ি সেখানে জ্বালিয়েও দেওয়া হচ্ছে। |
জগন্মোহন রেড্ডি |
বিজয়ালক্ষ্মী |
|
অন্ধ্রপ্রদেশের এই দক্ষিণ প্রান্তেই আসল দাপট জগনের। রাজ্য ভাগ হলে এই এলাকা অবহেলার শিকার হবে বলে অভিযোগ উঠছে। চন্দ্রবাবু নায়ডু থেকে নরেন্দ্র মোদী-সকলেই এখন ওই অসন্তোষ পুঁজি করতে আসরে নেমে পড়েছেন। তাই জগনের পক্ষেও বেশি দিন চুপ করে বসে থাকা সম্ভব নয়।
জগনের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেসের ‘দুরভিসন্ধি’। ওয়াই এস আর কংগ্রেসের অভিযোগ, জগনকে দুর্বল করার জন্য তেলঙ্গানার সঙ্গে রায়লসীমার আরও দুটি জেলাও অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছেন দিগ্বিজয় সিংহের মতো নেতারা। জগনের আশঙ্কা, কংগ্রেস এই কাজে সফল হলে তিনি রায়লসীমায় আরও দুর্বল হয়ে পড়বেন।
সম্প্রতি জগনের বোন শর্মিলা প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা করেছেন। তখনই তিনি দাবি করেন, কংগ্রেস তাঁদের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ভোটের আগে তেলঙ্গানার তাস খেলতে চাইছে।
শর্মিলার মতে, অন্ধ্রপ্রদেশের দুটি মূল নদীই আসে তেলঙ্গানার মধ্য দিয়ে। যদি রাজ্য ভাগ হয়, তা হলে দক্ষিণের জেলাগুলি অদূর ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জগনের বোনের অভিযোগ, তাঁর ভাইয়ের জনপ্রিয়তা দেখে কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে। প্রথমে তাই জগনের বিরুদ্ধে সিবিআইকে অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ বার রাজ্য ভাগের মাধ্যমে জগনকে আরও দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।
অন্ধ্রের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহের বক্তব্য, “জগনের বাবা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির সময় থেকেই তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের আলোচনা শুরু হয়েছিল। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই তেলঙ্গানা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।” দিগ্বিজয়ের মতে, জগনের পরিবারের বোঝা উচিত যে রাজশেখরের সময়ের প্রস্তাবকেই বাস্তবায়িত করা হচ্ছে।
|
পুরনো খবর: কোথায় হবে নয়া রাজধানী, গৃহযুদ্ধের পথে অন্ধ্রপ্রদেশ |
|
|
|
|
|