পুরসভার নানা পরিষেবা নিয়ে নালিশ বাসিন্দাদের
ন্ধে নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় এলাকার নানা রাস্তা। আবর্জনার স্তূপ থেকে বের হওয়া দুর্গন্ধের ঠেলায় শহরের বেশ কিছু রাস্তা দিয়ে নাকে রুমাল চেপে যাতায়াত করতে হয়। দু’এক পশলার বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে বসতি এলাকা। এমনই বিভিন্ন অভিযোগ শহরের একাংশ বাসিন্দার।
তাঁদের অভিযোগ, সুনীতি রোড -এর মতো ব্যস্ত এলাকার একাংশে পথবাতি বিকল এক মাস। ম্যাগাজিন রোড, শিবেন্দ্র নারায়ণ রোড, কেশব রোড, নতুন পল্লি, কলাবাগান থেকে শহরের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ সাগরদিঘি চত্বরের পথবাতিও বিকল হয়ে গিয়েছে। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিকল পথবাতির সংখ্যা শতাধিক। এলাকার বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী শিবেন রায় বলেন, “সাগরদিঘির বেশ কিছু পথবাতি একমাস ধরে বিকল। সন্ধে হলে রাস্তার একাংশ অন্ধকারে ডুবে থাকায় সমাজবিরোধী দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
শহরের সিলভার জুবিলি রোড, বিশ্ব সিংহ রোড, পাওয়ার হাউস চৌপথী, বাদুর বাগান, স্টেশন মোড়, গুঞ্জবাড়ি এলাকাতে নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই হয় না বলে অভিযোগ। পুরো এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়েছে বলে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি। এছাড়াও রাজার শহরের যত্রতত্র জমে থাকা জঞ্জাল স্তূপের থেকে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, মশা মাছির উপদ্রবও বেড়ে গিয়েছে। নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির সভাপতি রাজু রায় বলেন, “ওই সব এলাকা তো বটেই সম্প্রতি ভবানীগঞ্জ বাজারেও নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই করা হয় না। এ রকম চললে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” পথ বাতি বা জঞ্জালের সমস্যার পাশাপাশি বাসিন্দাদের অভিযোগ রয়েছে স্টেশন রোড, নতুন বাজার, কালিকা দাস রোড, মান্টু দাশগুপ্তপল্লি এলাকার নিকাশি নিয়েও। কোথাও নর্দমা উপচে জল রাস্তায় চলে আসে, কোথাও এক পশলা বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুন্ডু বলেছেন, “পুর পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ চলছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যাবে। যদিও বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু এলাকায় পথবাতি খারাপ হওয়া এটা রুটিন বিষয়। নজরে এলেই তা দ্রুত মেরামত করা হয়। কর্মী সংখ্যা কম থাকায় জজ্ঞাল সাফাইয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে।” পুরসভা সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া পরিষেবা বাড়েত ধারাবাহিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হয়েছে। প্রথম ধাপে প্রায় ৯ কোটি টাকায় তোর্সার জল তুলে শোধন করে সরবরাহের ওই প্রকল্পের কাজ শুরুও হয়েছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলর মহানন্দ সাহা বলেন, “কোচবিহার পুর এলাকায় পরিষেবা বলতে কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে না। পুর কর্তৃপক্ষ একেক সময়ে একেক রকম অজুহাত দেন। এতদিন বরাদ্দ না থাকার কথা বলতেন, এবার তো চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীরা সরকারের ঘনিষ্ট হতে চলেছেন। দেখা যাক এ বার রাজাদের শহরের সেই অতীত ফিরে আসে কি না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.