|
|
|
|
মা’কে মারধর, অভিযুক্ত মেয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মা’কে মারধর বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে। এই কাজে জামাইও সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ। আদালত সূত্রের খবর, বিয়ের দু’বছর পর থেকেই চম্পাসারি এলাকার জ্যোতিনগরে সুশীলা দেবীর কাছে থাকতেন চুনমুন গুপ্ত ও তাঁর স্বামী সুশীল গুপ্ত। রোজই প্রায় অভিযুক্ত দুই জন সুশীলা দেবীকে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক নির্যাতনের মামলা চলছে শিলিগুড়ি আদালতে। গত বছর আদালত পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে বাড়িতে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপরেও অত্যাচার কমেনি বলে অভিযোগ।
গত ৫ অগস্ট আদালত ফের নির্দেশ দেয় মেয়েকে ও জামাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দার্জিলিং জেলা আদালতে মামলা করেন সুশীলবাবু। আদালত নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি, জামাইকে থাকতে না দিলেও মেয়েকে বাড়িতে থাকতে দিতে হবে বলে আদালত জানিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে ওই বৃদ্ধাকে ফের মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার সুশীলা দেবীর ছোট মেয়ে অনিতা সাহা বলেন, “মাকে বাড়ি থেকে বাড়ি ভাঙা হয়েছে। দিদি ও জামাইবাবু আট ভরি সোনা সোনার, ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাড়ি-সহ তিন কাটা জমি নেওয়ার জন্য ওঁরা এরকম করেছে।” তিনি জানান, বিয়ের পর দিদি কালিম্পঙে থাকতেন। সেখানে ওদের একটি মুদির দোকান ছিল। কিন্তু মা’কে দেখার কথা বলেই এই বাড়িতে থাকতে শুরু করে দুই জনে। অনিতাদেবীর অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার প্রধাননগর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে তা নিতে চায়নি পুলিশ। আদালতের বিষয় বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।” বৃদ্ধার আইনজীবী রিমা সরকার জানান, পরে অভিযোগ নেওয়া হলে কোন ‘জিডি নম্বর’ দেওয়া হয়নি। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন প্রধাননগর থানার আইসি রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” অভিযোগ প্রসঙ্গে সুশীলবাবুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা ফোন ধরেননি। |
|
|
|
|
|