|
|
|
|
পাহাড়ে ‘অচলাবস্থায়’ দায়ী কেন্দ্র ও রাজ্য, অভিযোগ অশোকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পাহাড়ের এই ‘অচলাবস্থার’ জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী বলে ফের অভিযোগ করলেন দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট্রের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্য। প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর মতে, ধৈর্য ধরে পাহাড় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আলোচনার রাস্তা তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, শুধুমাত্র পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলে তার ফল ভাল হবে না। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে, সেখানে কত পুলিশ আসবে, কটি থানা হবে পাহাড়ে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু জিটিএ চুক্তিতে কি রয়েছে তার কতটা কাজ হয়েছে তা নিয়ে কোনও আলোচনা কেন হচ্ছে না?”
পাশাপাশি, প্রবীণ সিপিএম নেতা পাহাড়ের অতীতের আন্দোলনের বিষয়টি উল্লেখ করে রাজ্য সরকারকে সতর্কও করেছেন। তাঁর পরামর্শ, “এ ধরনের আন্দোলনের পিছনে জাতিগত আবেগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন।”
শুধু তাই নয়, দার্জিলিং পাহাড়ের একমাত্র লোকসভা আসনটির দিকে লক্ষ্য রেখে কংগ্রেস-তৃণমূল-বিজেপি হাঁটছে কি না সেই ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশ করেন অশোকবাবু। তিনি বলেন, “দার্জিলিঙের লোকসভা আসনটি পেতেই ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আসরে নামে। নানা ভাবে পাহাড়ের মানুষের আবেগকে হাতিয়ার করতে চান নেতাদের একাংশ। এটা কখনও কাম্য নয়।” তা হলে আলোচনার ক্ষেত্র কী ভাবে প্রস্তুত হবে? প্রাক্তন পুরমন্ত্রী জানান, যে হেতু কেন্দ্র, রাজ্য ও মোর্চা মিলে ত্রিপক্ষ চুক্তির মাধ্যমে জিটিএ তৈরি হয়েছে, সে জন্য তিন পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে। তাঁর কথায়, “টানা বন্ধ চলায় পাহাড়ের মানুষ ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন। সাধারণ মানুষকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে দিতে রাজ্য ও কেন্দ্রকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। যে ভাবেই হোক মোর্চাকে আলোচনায় এনে সমাধান সূত্র খুঁজতে হবে।” এর পরেই তিনি জানান, তাঁরা সর্বদল বৈঠক ডাকার জন্য রাজ্যের কাছে নানা ভাবে আর্জি জানিয়েছেন। দার্জিলিং জেলা সিপিএমের কার্যনিবার্হী সম্পাদক জীবেশ সরকার জানান, জিটিএ চুক্তি মেনে সব কাজ না-করায় সমস্যা জটিল হয়েছে কি না সেটা দেখতে হবে। তাঁর অভিযোগ, “চুক্তিতে অনেক কর্মসংস্থানের কথা রয়েছে। বেকার যুবকরা চাকরি পাননি। বিশ্বাসভঙ্গের জায়গা তৈরি হয়ছে। এই পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন প্রয়োজন।” |
|
|
|
|
|