স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক যুবক ও তার দলবলের হাতে মার খেলেন প্রতিবাদকারীরা। বৃহস্পতিবার ভর দুপুরে বাঁকুড়া শহরের স্টেশনরোড এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয় প্রহৃতদের তরফে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করা গিয়েছে। রাজকুমার বাউরি নামে ওই যুবক স্থানীয় বিডিআর প্রাথমিক স্কুল লাগোয়া বাউরিপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগ হয়নি। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “অভিযুক্তের সন্ধানে তার বাড়িতে গিয়েও পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। সে ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাকে শীঘ্রই ধরা হবে।”
অভিযোগকারীরা এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ স্টেশনরোড সংলগ্ন এলাকার টাউন হাইস্কুলের এক ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় রাজকুমার ছাত্রীটির পথ আটকে তার হাত ধরে টানাটানি করে। শ্লীলতাহানিও করে। অভিযোগকারী সাবিরুদ্দিন ভুঁইয়া, অভ্রনীল মণ্ডল, কৌশিক মহাপাত্র, অমিত মাহাতোরা বলেন, “আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করি। মেয়েটিকে ছেলেটার হাত থেকে উদ্ধার করি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ছেলেটা জনা পনেরো বন্ধু নিয়ে এসে আমাদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে।” অভ্রনীল বলেন, “হামলাকারীদের কয়েক জনের হাতে সিমেন্টের পাইপ ছিল। মারতে মারতে ওরা গালাগাল দিচ্ছিল।” আশপাশের দোকানদারেরা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। টাউন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফণিভূষণ গরাই জানান, কিছু যুবক তাঁকে একটি ঝামেলা হয়েছে বলে জানিয়েছিসেন। তবে, পুরো ঘটনা তাঁর জানা নেই। স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এর আগে কোনও দিন ওঠেনি বলেই তিনি জানাচ্ছেন। স্টেশনরোড এলাকাটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। ভর দুপুরে সেখানে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আলোড়ন ফেলেছে। শহরে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার কথা শুনিনি। তবে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করব।” |