টুকরো খবর
শহিদ স্মরণ মহিষাদলে
রথতলায় শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।
‘ইংরেজ ভারত ছাড়ো’— এই আহ্বান জানিয়েই ১৯৪২ সালের ৯ অগস্ট শুরু হয়েছিল ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন। অগস্ট বিপ্লবের সেই মুহূর্তে আলোড়িত হয়েছিল সারা ভারত। বাদ পড়েনি অবিভক্ত মেদিনীপুরও। সেই আন্দোলনের বিপ্লবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার মহিষাদলের রথতলায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়াও ছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ মাইতি, বিদায়ী জেলা মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব ভৌমিক, বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী প্রমুখ। এ দিনের অনুষ্ঠানে অগস্ট আন্দোলনে শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরা, সুশীলকুমার ধাড়া, সতীশচন্দ্র সমন্ত, অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের মতো বিপ্লবী নেতাদের স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এই মাটি বিপ্লবীদের মাটি। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের আবেদন তাঁরা যেন শহিদদের আত্মত্যাগকে সামনে রেখে দেশের অখণ্ডতা, সম্প্রীতি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেন।” অন্য দিকে, ৪২’এর আন্দোলনের স্মরণে তমলুক শহরের কোর্ট ময়দানে তমলুক পুরসভার পক্ষ থেকে শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। তমলুক পুরসভা প্রাঙ্গণের শহিদ বেদীতেও মালা দেওয়া হয়। জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে আন্দোলনের স্মরণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং এক আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। এ ছাড়াও তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গণে বিপ্লবীদের মূর্তিতে মালা দেওয়া হয়।

হস্টেলে দুষ্কৃতী হামলা, আতঙ্ক
মেয়েদের হস্টেলে ঢুকে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী। বুধবার রাতে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ওই দুষ্কৃতী দল মারিশদা থানার বাহিরী পূর্ণিমা গার্লস স্কুলের হস্টেলের পাঁচিল টপকে ঢুকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দরজা-জানালা ভাঙার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তারা খোলা জানালা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে ছাত্রীদের জামাকাপড় চুরিও চেষ্টা করে। প্রায় ঘণ্টা খানেক তাণ্ডব চালানোর পর তারা পালায়। হস্টেলের দোতলায় পাহারাদার থাকলেও তাকে ডেকে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। যদিও প্রধান শিক্ষিকা অলকা জানা বলেন, “ছাত্রীদের চিৎকার শুনে পাহারাদার নীচে নেমে আসেন। ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালায়।” শুক্রবার তিনি মারিশদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে মারিশদা থানার পুলিশ ছাত্রীদের ও পাহারাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ দিকে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত ছাত্রীরা শুক্রবার দুপুরে বাড়ি ফিরে যায়। অবশ্য আতঙ্কের জন্য ছাত্রীরা বাড়ি চলে গিয়েছে তা অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষিকা অলকা জানা বলেন, “স্কুলে ঈদের ছুটি থাকায় ছাত্রীরা বাড়ি গিয়েছে।”

কোলাঘাটে পথ দুর্ঘটনা, মৃত তিন
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন মোটরবাইক আরোহীর। শুক্রবার কোলাঘাট থানার দেউলিয়া বাজারের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতদের নাম শেখ রবিয়াল (২৫), শেখ সহিদুল (২২), শেখ ওমর আলি (৪৩)। শেখ রবিয়াল ও শেখ ওমর আলির বাড়ি কোলাঘাট থানার সাগরবাড়ের চাঁদপুর গ্রামে। শেখ সহিদুলের বাড়ি এলাকারই দক্ষিণ দেউলবাড়ে। এ দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই তিন জন মোটরবাইকে করে কোলাঘাটের দিকে আসার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দেউলিয়া বাজারের কাছে তাঁদের মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ডিভাইডারে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই ওই তিন জনের মৃত্যু হয়।

দেহ উদ্ধার
রেল লাইনের ধার থেকে এক তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার দুর্গাচক টাউন স্টেশনের কাছ থেকে রেল পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। মৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ সামন্ত (২২)। বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপের হরেন্দ্রনগরে। স্থানীয় ও রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল থেকেই রেল লাইনের ধারে দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতের শরীরে কোনও ক্ষতের চিহ্ন না থাকলেও মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল একটি ব্যাগ। তাতে থাকা একটি সার্টিফিকেট ও ভোটার কার্ড থেকে পুলিশ ওই তরুণের পরিচয় জানতে পারে। তবে ওই যুবকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। হলদিয়া রেল পুলিশের ওসি অনন্ত মাইতি বলেন, “ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে না। তবে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েও ওই তরুণের মৃত্যু হতে পারে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.