|
|
|
|
পরপর পাঁচটি দোকানে চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
রাতের অন্ধকারে পরপর পাঁচটি দোকানে চুরি হয়ে গেল মহিষাদলে। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার জিনিস খোওয়া গিয়েছে।
মহিষাদল বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। শুক্রবার সকালে তা জানাজানি হয়। একটি বড় কাপড়ের দোকান, তিনটি রেডিমেড পোশাকের দোকান ও একটি বইয়ের দোকানে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। দোকান মালিকেরা এ দিন সকালে এসে দেখেন জিনিসপত্রের সঙ্গে কয়েক লক্ষ নগদ টাকাও খোওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রথতলা সংলগ্ন ওই বাজার এলাকা বহু পুরনো। রাতে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত সেভাবে নেই। ঈদের মরসুম চলায় বাজার এলাকায় ভিড় জমছিল। বৃহস্পতিবারও শেষবেলায় বিক্রি ছিল হয়েছিল ভালোই। অন্য দিনের তুলনায় ঘণ্টা দু’য়েক পরে রাত সাড়ে দশটায় বন্ধ হয় বাজারের প্রায় সব দোকান। |
|
ডাকাতির পর।—নিজস্ব চিত্র |
কাছেই রথতলায় রাতভর কাজ চলছিল অগস্ট আন্দোলনের শহিদ স্মরণের। তবে ওই চুরির সময় কেউই কিছু বুঝতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে দোকানিরা জানতে পারেন দোকানের শাটার খোলা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন তাঁরা। কাপড়ের দোকানের মালিক কানাই বেরা বলেন, “ঈদের জন্য রাত করে দোকান বন্ধ করেছিলাম। ভোর পাঁচটা নাগাদ এক ডেকোরেটর ফোন করে জানান আমার দোকানের শাটার খোলা। এসে দেখি প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খোওয়া গিয়েছে।” পাশের রেডিমেড পোশাক দোকানি যিষ্ণুপদ দাস, সমর দাসেরা জানান, দোকানের শাটারে কোনও আঘাত নেই। তালাগুলি কোনও যন্ত্র দিয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মহিষাদলে মাঝে মধ্যেই শোনা যায় চুরি, ছিনাতাইয়ের ঘটনা। মাসখানেক আগেও একটি সোনার দোকানে চুরির চেষ্টা হয়। তার আগে এক মহিলার হার ছিনতাইয়েরও অভিযোগ উঠেছিল। তা ছাড়াও বাড়ি থেকে বাইক চুরির নজির রয়েছে ওই এলাকার। অবশ্য কিছু দিন ধরে চুরি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বন্ধ ছিল। তবে বাজার এলাকায় ওই ঘটনার পরে ফের উদ্বেগে এলাকাবাসী। চুরির পরে এলাকার দু’পাশ দিয়ে চলে যাওয়া হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় ও রাজ্য সড়ককে দুষ্কৃতীরা ব্যবহার করছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
স্থানীয় শিক্ষক অরিজিৎ বসুর কথায়, “চুরির থেকেও আঁধার পথে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি শোনা যায়। কোনও ঘটনা ঘটে গেলে পুলিশ সক্রিয় হয়। তবে তার পরে আবার সেই ঢিলেঢালা চেহারা দেখা যায়।” তাই বছর ভর পুলিশের টহলদারির দাবি উঠেছে এলাকায়। যদিও হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতির আশ্বাস, “ছিনতাই হলে আগেও দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হয়েছে। এক্ষেত্রেও দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে। সারা বছর আমাদের টহলদারি চলে। তা আরও জোরদার করার ব্যাপারে দেখব।” |
|
|
|
|
|