|
|
|
|
তদন্তের আশ্বাস এমকেডিএ-র |
কাজে গলদ, পাঁচ মাসের মাথায় বন্ধ বৈদ্যুতিক চুল্লি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাত্র পাঁচ মাস আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে মেদিনীপুরের পদ্মাবতী শ্মশানে চালু হয়েছিল বৈদ্যুতিক চুল্লি। খরচ হয়েছিল দু’-কোটিরও বেশি টাকা। বেসমেন্টে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেই চুল্লিই এখন বন্ধ।
এত কম সময়ে এই অবস্থা কেন? প্রাথমিক তদন্তে মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ)-এর অনুমান, নিম্নমানের কাজের ফলে এই পরিস্থিতি। এ ক্ষেত্রে যথাযথ নজরদারি চালানো হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। পরিস্থিতি দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন এমকেডিএ চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক মৃগেন মাইতি। তাঁর বক্তব্য, “আগের সরকারের আমলে চুল্লির বেসমেন্ট তৈরি হয়েছিল। ঠিক মতো কাজ হলে মাত্র পাঁচ মাসে ফাটল দেখা দিত না। গাফিলতি কার, তা খুঁজে বের করা হবে। তদন্তও হবে।” চালুর পরেও চুল্লিতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সে বার যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল। এ বার সমস্যাটা অন্য। এমকেডিএ-র চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ফাটল মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। তাই সাময়িক ভাবে চুল্লি বন্ধ রাখা হয়েছে। তিন সপ্তাহ পর ফের চুল্লি চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। |
|
মেদিনীপুরের পদ্মাবতী শ্মশান।—নিজস্ব চিত্র। |
পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর শহর মেদিনীপুর। এখানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল কয়েক বছর আগে। শুরুতে ঠিক ছিল, শহরের পাশে একটি জায়গায় বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি হবে। সেই মতো জায়গাও দেখা হয়। তবে আপত্তি করেন ওই এলাকার মানুষ। মূলত তাঁদের আপত্তিতেই পরে পদ্মাবতী শ্মশানে চুল্লি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। গত ২ মার্চ স্বাড়ম্বরে চুল্লির উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই চুল্লি নিয়ে অন্য সমস্যাও রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, চুল্লি চালু করে যা আয় হচ্ছে, ব্যয় হচ্ছে তার দ্বিগুণ। মোটা অঙ্কের টাকা চলে যাচ্ছে বিদ্যুতের খরচ মেটাতে। কর্তৃপক্ষ ভেবে পাচ্ছেন না, এই অবস্থায় ঠিক কী করণীয়। পর্ষদের এক কর্তার কথায়, “এমন ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিতেই হয়। তবে তার পরিমাণ কিছুটা কম হলে ভাল।”
জানা গিয়েছে, “প্রতিদিন যদি গড়ে ১০টি করে দেহ দাহ হত, তাহলে এই পরিস্থিতি হত না। তবে মেদিনীপুরের মতো শহরেও দিনে গড়ে দু’টি করে দেহ দাহ হচ্ছে। অথচ চুল্লি সারাদিনই চালিয়ে রাখতে হয়। ফলে, বিদ্যুতের বিল আসছে বেশি। গত ৩ অগস্ট পদ্মাবতী শ্মশানে একটি মৃতদেহ এসেছিল। তার সৎকার করতে গিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। মৃতদেহটি দীর্ঘক্ষণ চুল্লির মধ্যে থেকেও পুড়ছিল না। পরে চুল্লির এক কর্মী দেখেন, বেসমেন্টে ফাটল ধরেছে। সমস্যা নজরে আসার পর তড়িঘড়ি পদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন এমকেডিএ-র চেয়ারম্যান। শুক্রবার তিনি বলেন, “বেসমেন্টের কাজ ভাল ভাবে হয়নি। আমি এমইডি-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। এক আধিকারিককে সতর্কও করেছি। তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে। এ বার ভাল ভাবে ওই বেসমেন্টের কাজ হচ্ছে। পরবর্তী কালে আর এই রকম সমস্যা দেখা দেবে না।” |
পুরনো খবর: এমকেডিএ’র এলাকা পুনর্বিন্যাসের সম্ভাবনা |
|
|
|
|
|