শামুকতলা থেকে আলিপুরদুয়ার এবং চেপানি যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে সমাজভিত্তিক বনসৃজন প্রকল্পের গাছ চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাস্তার পাশের শাল, শিমূল, শিশু, গামার, মেহগণি, কৃষ্ণচূড়ার মত গাছ চুরি হচ্ছে বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রসাশন বা বন দফতর গাছচুরি রুখতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। প্রসাশনের নাকের ডগায় গাছ চুরি হয়ে গেলেও চুরি রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সরকারি সূত্রের খবর, শামুকতলা থেকে আলিপুরদুয়ার ও চেপানি পর্যন্ত কুড়ি কিমি রাস্তার দু’ধারে আশির দশকে সমাজভিত্তিক বনসৃজন প্রকল্পে পাঁচ হাজারেরও বেশি গাছ লাগানো হয়। প্রথম তিন বছর পঞ্চায়েত-প্রসাশন গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণে নজর দেয়। পাহারাও দেওয়া হয়। বাসিন্দারার জানান, গত কয়েক বছরে গাছগুলি বেশ বড় হয়ে ওঠে। এর পরেই কাঠ মাফিয়াদের চোখ পড়ে গাছগুলিতে। প্রতি রাতেই এক এক করে উধাও হয়ে যাচ্ছে গাছ। গত দশ দিনে ৪০টিও বেশি গাছ ওই এলাকা থেকে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ। |
তবে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। আলিপুরদুয়ার ২ বিডিও সজল তামাং জানান, গাছ চুরি রুখতে দ্রুত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির, বন দফতর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি উপসমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ অতুল ঘোষ জানান, গাছ লাগানোর পর প্রথম তিন বছর দেখভালের দায়িত্ব আমাদের থাকলেও পরবর্তী সময় এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির উপর সে দায়িত্ব বর্তায়। তাই গাছ চুরি রুখতে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত কে দায়িত্ব নিতে হবে। পঞ্চায়েতগুলি অবশ্য অন্য কথা বলছে। তাঁরা জানাচ্ছে, গাছ চুরি রুতে রাতে নৈশপ্রহরী নিয়োগ করতে হয়। তহবিলে সেই টাকা না থাকায় তা সম্ভব হয় না। এলাকার দুষ্কৃতীরাও এর পিছনে রয়েছে। শামুকতলা থানার ওসি প্রবীণ প্রধান জানান, গাছ-চুরি রুখতে আলাদা করে টহল দেওয়া হয় না ঠিকই। নজরদারি বাড়াতে টহলদারি ভ্যানগুলিকে বলা হয়েছে। |