বাইরে নমাজ পড়লেন মহিলারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
সংখ্যায় পুরুষদের থেকে কম হলেও বাড়ির বাইরে গিয়ে নমাজ পড়লেন মহিলারা। তবে মসজিদ চত্বরে মহিলাদের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমনই দৃশ্য দেখা গেল মাড়গ্রামের গুদামপাড়া এলাকায়।
তবে বাইরে পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের নমাজ পড়ার বিষয়টি নতুন নয়। এর সূত্রপাত ২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর। রাজ্যের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরীর স্ত্রী মমতাজ সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীর উদ্যোগে গুদামপাড়ার মসজিদে এলাকার মহিলাদের একাংশকে বাড়ির বাইরে এনে পৃথক মহিলা নমাজের শুরুটা করেছিলেন। তার এক বছর আগে বীরভূম জেলাতেই মুরারইয়ে নতুনবাজার এলাকায় প্যান্ডেল করে কাপড় দিয়ে ঘেরা জায়গায় কেবলমাত্র মহিলারা পৃথক নমাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মুরারইয়ের মহিলারা তা ধরে রাখতে পারেননি। মাড়গ্রামের মহিলারা তা ধরে রাখতে পারেছেন। এ বারও বাইরে মহিলাদের নমাজ পড়ার উপস্থিতির হার কম হলেও যা হচ্ছে, সেটাই একটা আলোড়ন ও উপলব্ধির ফসল বলে মনে করেন পেশায় চিকিৎসক বেগম মমতাজ সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী।
২০০৬ সালে ঈদের নমাজের পর এখনও স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে এসে পাড়া-প্রতিবেশী মহিলাদের একাংশকে উদ্বুগ্ধ করে মসজিদ চত্বরে নমাজে যোগদান করতে উৎসাহ যেমন দিচ্ছেন, তেমনি নিজেও নমাজে যোগ দিচ্ছেন। সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীর কথায়, “ঈদ খুশির ও মিলনের উৎসব। চিরকাল মহিলারা উৎসবের দিন বাড়ির এবং প্রতিবেশীদের জন্য ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থেকে কেবলমাত্র রান্না করে যাবে এটা ঠিক নয়। তাঁরাও একসঙ্গে আনন্দ উপভোগ করুক এটা আমি চাই।” |