লাহৌর থেকে কর্মী সরাচ্ছে আমেরিকা |
ফের জঙ্গিহানার ভয়। আর তার জেরে লাহৌরে নিজেদের কনসুলেটের সাধারণ কর্মীদের সরিয়ে নিল আমেরিকা। একই সঙ্গে নতুন করে দেশের নাগরিকদের কোনও গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া পাকিস্তানে আসতে নিষেধ করল আমেরিকা। সৌজন্যে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এবং আরও একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার আতঙ্ক।
গত রবিবার ইয়েমেন-সহ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সব মিলিয়ে ২২টি দূতাবাস ও কনসুলেট বন্ধ রেখেছিল আমেরিকা। এর মধ্যে বিশেষ আতঙ্ক ছিল ইয়েমেনের রাজধানী সানার আমেরিকার দূতাবাসটিকে ঘিরে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঈদের সময়ে ইয়েমেন কেন্দ্রিক আল-কায়দার আরব শাখাটি আমেরিকা তথা পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এবং কনসুলেটগুলির উপর বড়সড় হামলার ছক কষছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যও ওবামা-প্রশাসনের হাতে এসেছিল। তাই বন্ধ করা হয় দূতাবাস ও কনসুলেটগুলি।
তবে ওবামা-প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবারের এই নতুন নির্দেশ সেই বৃহত্তর আল-কায়দা হামলার বিরুদ্ধে গড়ে তোলা নিরাপত্তা-কৌশলের অংশ নয়। ঈদের উৎসবে বিশেষভাবে লাহৌরের মার্কিন কনসুলেটটির উপর হামলা চালানোর তথ্য রয়েছে তাঁদের হাতে। শুক্রবার তাই স্বরাষ্ট্রদফতর নতুন নির্দেশ জারি করে। এর জেরে একমাত্র আপৎকালীন কর্মী ছাড়া বাকি প্রত্যেককেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিকদেরও সরিয়ে আনা হয়েছে ইসলামাবাদে।
তবে কনসুলেট বন্ধের কথা ঘোষণা করেনি ওবামা-প্রশাসন। ওয়াশিংটন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহেই কাজে যোগ দিতে পারেন এই কর্মীরা। যদিও এখনই এ বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে বলছে না আমেরিকা। প্রশাসনের বক্তব্য, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার খুশির ঈদ পালন করছে পাকিস্তান। ঠিক তার আগের দিনই কোয়েটায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৮ জন পুলিশকর্মী। তার পরেই সাধারণ কর্মীদের সরানোর সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা। |