রসিকা-র ভারতীয় রান্নায় মজেছেন সস্ত্রীক ওবামা |
পিৎজা-বার্গার-পাস্তা নয়। নয় কোনও কন্টিনেন্টাল প্লেট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শেষমেশ মজেছেন ‘রসিকা’-র রসে। এতটাই যে নিজের জন্মদিনের ট্রিট দিতে স্ত্রীকে নিয়ে হাজিরও হয়ে গেলেন ‘রসিকা’-তে। ওয়াশিংটনের নামকরা রেস্তোরাঁ এই ‘রসিকা’। বিখ্যাত তার ভারতীয় খাবারের জন্য। তবে চিরপরিচিত টিক্কা-কাবাব কারি-তে মিলবে নতুনত্ব। আভিজাত্য আর স্বাদের এই মেলবন্ধনই খ্যাতি এনে দিয়েছে রসিকা-য়। অন্তত এমনটাই দাবি রসিকা-র মালিকের।
২০০৫ সালে পশ্চিম ওয়াশিংটনে তৈরি হয় রসিকা। মালিক আদতে দিল্লির বাসিন্দা অশোক বজাজ। “ছোট কিন্তু আকর্ষক স্বাদের খাবার, আধুনিক বসার জায়গা আর দরকার মতো ঠান্ডা কমানো বা বাড়ানো যায় এমন ওয়াইন সেলার” রেস্তোরাঁর ওয়েবসাইট অনুযায়ী এটাই রসিকার আকর্ষণ।
গত রবিবার ৫২-য় পা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কাজকর্মের চাপে তেমন আর ঘোরাঘুরি হয় না। তাই একান্তে দু’জনে কিছু ক্ষণ কাটাবেন বলেই নাকি রেস্তোরাঁয় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওবামা-দম্পতি। |
আর পাঁচটা দিনের মতো বৃহস্পতিবারও স্বাভাবিক ভাবেই রেস্তোরাঁর কাজকর্ম চলছিল। কিন্তু যেই বিকেল গড়াল হঠাৎই কেমন যেন বদলে গেল রেস্তোরাঁর আবহাওয়া। সব কর্মচারীই কেমন যেন তটস্থ। ম্যানেজার এসে ঘন ঘন সব কিছু ঠিক আছে কি না দেখে যাচ্ছেন।
এমন সময় হঠাৎই রসিকা-র সামনে এসে দাঁড়াল কালো কাচে ঢাকা গাড়িটা। আর তার মধ্যে থেকে নেমে এলেন সস্ত্রীক বারাক ওবামা। মিশেলের পরনে হাঁটু ঝুলের কালো পোশাক। হাই হিল। সেই তুলনায় বারাকের পোশাক ছিল অনেকটাই সাদামাটা। অন্য দিনের মতোই কালো স্যুট। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, গাড়ি থেকে নেমে সোজা রেস্তোরাঁর ভিতরে ঢুকে যান মিশেলরা। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ কাটান। তবে ওবামারা কী খেয়েছেন তা জানা যায়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আর ফার্স্ট লেডির আসার খবর পেয়ে এ দিকে রসিকার সামনে তখন ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবে উপস্থিত জনতাকে ছবি তোলার তেমন সুযোগ না দিয়েই নিরাপত্তারক্ষীদের আড়ালে ফের গাড়ির মধ্যে সেঁধিয়ে গেলেন ওবামারা। মাঝে শুধু এক বার জনতার উদ্দেশে হাত নাড়লেন মিশেল। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, সপ্তাহান্তে সপরিবার ওবামা ক্যাম্প ডেভিডে গিয়েছিলেন। সেখানেই স্ত্রী-দুই মেয়ে আর বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করেন। তবে স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে রসিকা-ই বেছে নিলেন আমেরিকার ফার্স্ট সিটিজেন। |