ভাল বৃষ্টি না হওয়ায় জেলায় বহু জমিতে ধান চাষ শুরু করতে পারেননি চাষিরা। কৃষি দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে এমন তথ্য।
কৃষিকর্তারা জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় আড়াই লক্ষ হেক্টর জমিতে ধানচাষ হয়। কিন্তু মঙ্গল ও বুধবারের ভারী বৃষ্টির আগে পর্যন্ত জেলার মোট জমির প্রায় অর্ধেকে ধান চাষ শুরু হয়নি। ওই বৃষ্টির পরে আরও প্রায় পঞ্চাশ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ শুরু হয়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে খবর। যে কালনা মহকুমায় বিশাল অংশ জমিতে ধান চাষ হয়, সেখানেও এ বার অনেকে চাষ শুরু করতে পারেননি বলে খবর পেয়েছেন কৃষি কর্তারা। গোটা মহকুমায় প্রায় দশ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়নি বলে কৃষি দফতর জানিয়েছে। |
কালনার সহ-কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ জানান, ১৫ অগস্টের মধ্যে চাষিরা আবাদের কাজ শেষ করতে না পারলে চারাগাছের বয়স বেড়ে যাবে। ফলে, কমে যাবে ফলন। কালনাতেই নানা ব্লকে কোথাও ৭০ শতাংশ, কোথাও ৮০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়েছে। বিকল্প সেচের ব্যবস্থা না থাকার জন্যও অনেক এলাকায় সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা।
কম বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন পাটচাষিরাও। কৃষি বিশেষজ্ঞেরা জানান, বহু চাষি পাট কাটার পরে সেই জমিতে ধান চাষ করেন। যথেষ্ট বৃষ্টি না হওয়ায় জলাশয়গুলিতে পাট পচানোর জন্য পর্যাপ্ত জল নেই। অনেক চাষি তাই এখনও জমি থেকে পাট কাটতে পারেননি। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মেড়তলা এলাকার চাষি নাসির শেখের বক্তব্য, “১৫ দিন আগেই বীজতলায় তৈরি হয়ে গিয়েছে ধানচারা। জলাভাবে পাট কাটতে না পারায় এখনও জমি খালি করা যায়নি। জানি না কবে আমন চাষ শুরু করতে পারব।” |