সিআইডি কর্তার ভুয়ো পরিচয়ে টাকা তোলার অভিযোগে এক যুবক গ্রেফতার হল। বৃহস্পতিবার, বালি জাতীয় সড়কের কালীতলা থেকে। ধৃত শুভাশিস রায় হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। নিশ্চিন্দা থানার পুলিশকর্মীরা কিছু দিন ধরে খবর পাচ্ছিলেন, জাতীয় সড়ক সংলগ্ন হোটেল, দোকান ও পানশালাগুলিতে সিআইডি-র এক কর্তা হানা দিচ্ছেন এবং সেখানকার কাগজপত্র দেখে তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোটা টাকা জরিমানা নিচ্ছেন। কে সেই কর্তা তা নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে কালীতলার একটি পানশালায় নথি দেখতে চায় শুভাশিস। পানশালাটির লাইসেন্সে সমস্যা আছে বলে মোটা টাকা দাবি করে। খবর পেয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ এসে ধরে শুভাশিসকে। তার কাছ থেকে সিআইডি-র অপরাধ দমন শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদের ভুয়ো পরিচয়পত্র মিলেছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (উত্তর) জয়িতা বসু বলেন, “ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে।”
|
সিআইডি কর্তার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বালি জাতীয় সড়কের কালীতলা থেকে শুভাশিস রায় নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক ধরা পড়ে। নিশ্চিন্দা থানার পুলিশকর্মীরা কয়েক দিন ধরে খবর পাচ্ছিলেন, জাতীয় সড়ক-সংলগ্ন হোটেল, দোকান ও পানশালাগুলিতে সিআইডি-র এক কর্তা হানা দিচ্ছেন এবং সেখানকার কাগজপত্র দেখে তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোটা টাকা জরিমানা নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কে সেই কর্তা, তা নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ২ নম্বর জাতীয় সড়কের কালীতলার একটি পানশালায় যায় শুভাশিস। সেখানে নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে পানশালার কাগজ দেখতে চায়। এর পরে পানশালাটির লাইসেন্সে সমস্যা রয়েছে বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তখনই খবর যায় নিশ্চিন্দা থানায়। সাদা পোশাকের পুলিশ এসে ধরে ওই যুবককে। তার কাছ থেকে সিআইডি-র অপরাধ দমন শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদের ভুয়ো পরিচয়পত্র মিলেছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (উত্তর) জয়িতা বসু বলেন, “ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে।”
|
এক বৃদ্ধাকে খুনের দায়ে যাব্বজীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। বুধবার চুঁচুড়া আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ শ্যামল কুমার বিশ্বাস এর এজলাসে আসামি সিধুনাথ টুডুকে তোলা হলে বিচারক তাকে এই সাজা শোনান। সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দু’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশও দেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী কালীপ্রসাদ সিংহ রায় এবং আইনজীবী মৌমিতা ঘোষ জানান, ২০০৯ সালের ৫ জুলাই পোলবার রাজহাট আমপালা গ্রামের বাসিন্দা সিধুনাথ কাস্তে হাতে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় গালিগালাজ করছিল। এলাকারই বাসিন্দা বিরাশি বছরের বৃদ্ধা পাঁচুবালা ঘোষ তার প্রতিবাদ করেন। সিধু কাস্তে দিয়ে পাঁচুবালার গলায় কোপ বসিয়ে দেয়। বৃদ্ধা রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়তে থাকেন বাড়ির দিকে। সিধু তাঁর পিছু ধাওয়া করে বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে গলায় কোপ বসায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। স্থানীয় বাসিন্দারা সিধুর পিছু ধাওয়া করে তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, সিধুর বিরুদ্ধে আগেও নানা দুষ্কর্মের অভিযোগ ছিল।
|
বিজেপির এক জয়ী সদস্যকে পদত্যাগের দাবিতে মারধোরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত্রে ঘটনাটি ঘটেছে বলাগড়ের জিরাটে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বলাগড়ের জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী কমল হাওলাদার ৪৫ ভোটে জয়লাভ করেন। ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই তাঁর উপরে হামলার ছক কষা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। কমলবাবুর কথায়, বুধবার রাতে একদল তৃণমূল সমর্থক জিরাটের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে। হামলাকারীরা ভাঙচুর চালায় বাড়িতে। কমলবাবু বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে হুগলির জেলাশাসক এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। দলের জেলা সহ সভাপতি স্বপন পাল বলেন,“ ভোট কেটে যাওয়ার পরে এখনও জেলা জুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। আমাদের সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়ে দলের গতিবিধি রোখা যাবে না।” তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
|
জেলা পারিবারিক আদালতের স্থান নির্বাচন নিয়ে চুঁচুড়া ও শ্রীরামপুর আদালতের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবীদের দাবি, জেলা সদর চুঁচুড়াতেই আদালত হওয়া যুক্তিসঙ্গত। শ্রীরামপুর আদালতের আইনজীবীদের পাল্টা দাবি, জেলার সব জায়গা থেকে সহজেই সেখানে আসা যায়। অন্য অনেক সুবিধাও আছে। একমাত্র শ্রীরামপুর আদালতেরই নিজস্ব জায়গা রয়েছে, এই যুক্তিতে ওই আদালত শ্রীরামপুরে থাকা যুক্তিসঙ্গত। এনিয়ে দু’টি আদালত সরগরম। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর আদালতের কয়েকশো আইনজীবী কর্মবিরতি করেন। গত জুলাইয়ে চুঁচুড়া আদালতে আইনজীবীরা কর্মবিরতি করেন। দুই আদালতের কর্মবিরতিতে বিচারপ্রার্থীরা বিপাকে।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পুলিশকর্মীর। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া কদমতলায় মুম্বই রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গোপাল বেগ (৫৬)। উলুবেড়িয়া থানায় হোমগার্ড পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। এ দিন সকালে বৃষ্টির মধ্যেই মোটর বাইকে থানা থেকে পাঁচলার পানিয়াড়া কন্ট্রোল রুমে যাচ্ছিলেন। সে সময়ে কলকাতাগামী গাড়ি বাইকের পিছনে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গোপালবাবুর। কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুর কারণে তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুখেন্দু হীরা। |