কাটা হাত নিয়ে হাসপাতালে, জোড়া গেল না
নিজস্ব সংবাদদাতা • বলরামপুর |
দুর্ঘটনায় কাটা পড়ল হাত। সেই হাত নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটেও তা জোড়া লাগানো গেল না।বুধবার বেলা ১২টায় পুরুলিয়া-জামসেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে, বলরামপুর থানার নামশোলের কাছে একটি অটো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। অটো চালাচ্ছিলেন সোনু তিওয়ারি নামের এক যুবক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু পেশায় অটোচালক মঞ্জয় যাদব। তাঁদের বাড়ি জামশেদপুরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় তাঁর ডান হাত কনুইয়ের কাছ থেকে কাটা পড়ে। মঞ্জয়ের অবশ্য তেমন চোট লাগেনি। তিনি রাস্তার অন্য একটি অটো থামিয়ে সোনু ও তাঁর কাটা হাতটি নিয়ে স্থানীয় বাঁশগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। স্বাস্থ্যকর্মীরা আহত যুবক ও তাঁর সঙ্গে নিয়ে আসা কাটা হাতটি দেখে চমকে ওঠেন। বাঁশগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক কালীসেন মুর্মু বলেন, “ওই যুবকের অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। প্রাথমিক ভাবে ব্যান্ডেজ করে তাঁকে কোনও বড় হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।” তাঁকে সেখান থেকে জামসেদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাটা হাতটি জোড়া লাগেনি। জামসেদপুর থেকে ফোনে আহত যুবকের দাদা আপ্পু তিওয়ারি বলেন, “এখানে চিকিৎসকেরা ভাইকে ভর্তি করিয়ে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেছেন। কিন্তু সঙ্গে করে আনা কাটা হাত জোড়া লাগানো যায়নি।” মঞ্জয় বলেন, “আমাদের পেশায় হাত খুবই জরুরি। তাই কাটা পড়া হাত সঙ্গে করেই ঘুরছিলাম, যদি লাগানো যায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, তা সম্ভব নয়। তবু ও যে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে এটাও বড় পাওনা।”
|
চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার সাত বছর পরেও এইচআইভি-এড্স বিল সংসদে পেশ করা হয়নি। এইচআইভি আক্রান্তদের স্বার্থে সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে বিলটি পেশ করার আবেদন জানালেন ওই রোগে আক্রান্তদের একাধিক সংগঠন, বিশিষ্ট জন এবং আইনজীবীদের একাংশ। বুধবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এই আবেদন জানানো হয়। এইচআইভি আক্রান্তদের একটি সংগঠনের তরফে তড়িৎ চক্রবর্তী জানান, বেসরকারি ক্ষেত্রে কোনও এইচআইভি রোগীর প্রতি কেউ বৈষম্যমূলক আচরণ করলে শাস্তির ব্যবস্থা নেই। প্রস্তাবিত বিলে সেই শাস্তির ব্যবস্থা আছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এই বিল পেশ করা উচিত। |