ভাইয়ের হাতে দাদা খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
রোজার উপবাস ভাঙার জন্য ইফতারির ফল কে কাটবে— দাদা, না ভাই? তা নিয়েই ঝগড়ার জেরে রেগে গিয়ে বছর এগারোর ভাই হাসুয়া ছুঁড়ে মেরেছিল ২৪ বছরের দাদাকে। হাসুয়ার ধারাল ফলা বিঁধে যায় দাদার বুকের বাঁ দিকে। গুরুতর জখম ওই যুবককে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার রাতে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে মারা যায় দাদা। মৃতের বাড়ি লালগোলা থানার ময়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মকিমনগর গ্রামে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ঘটনার পর থেকেই ভাই পলাতক। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” এ দিন দাদা-ভাই মিলে শশা ও পেয়ারা কাটছিল। তখন তাঁদের মা রাহেমা বেওয়া বাড়ির উঠোনের এক কোনে বসে ইফতারি সাজানোর জন্য বাসন ধুচ্ছিলেন। রাহেমা বলেন, “কে কত বেশি ইফতারি খায় তা নিয়ে দুই ভায়ের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। তার মধ্যেই কে কোন শশাটা, কোন পিয়ারাটা কাটবে তা নিয়েও দু’ জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।” দাদার কথায় হঠাৎ রেগে ফল কাটার হাসুয়া দিয়ে দাদাকে মারে ওই কিশোর।
|
কেন্দ্র পাশে নেই, দাবি সেচমন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
মুর্শিদাবাদ জেলার নদীভাঙন প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া বাস্তবে কিছুই করছে না কেন্দ্র সরকার। বুধবার বহরমপুর সাকির্ট হাউসে বসে এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অভিযোগ করার সময় তিনি কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্তমান রাষ্ট্রপতি ও রেলের বর্তমান প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এ দিন বহরমপুর সার্কিট হাউসে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট। গঙ্গা-পদ্মার ১২০ কিলোমিটার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা কথা ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার। কিন্তু ওই সংস্থা এক টাকাও খরচ করেনি। আমি বহু বার চিঠি দিয়েছি। গত ২৯ তারিখেও আমাদের চিফ ইঞ্জিনিয়র ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট অথরিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবুও কোন কাজ হয়নি।” তবে বর্তমান অর্থবর্ষে এ জেলার ভাঙন প্রতিরোধে রাজ্য মোট ৭৫ কোটি খরচ করেছে, ১২ কোটি টাকার কাজ চলছে ও আগামী অর্থবর্ষের জন্য আরও ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে রাজ্যের সেচমন্ত্রী এ দিন দাবি করেন।
|
ঘরছাড়া দুই কিশোরী হোমে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
বাড়ি থেকে পালিয়েও শেষ রক্ষা হল না। ট্রেনের সহযাত্রীদের জেরায় ধরা পড়ে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রীর ঠাঁই হয় বহরমপুর থানায়। দীপা পণ্ডিত ও অনুশ্রী পণ্ডিত সম্পর্কে দু’জন মামাতো বোন। দীপার বাড়ি কালনার নিউ মধুবনে আর বর্ধমান থানার বাগিলার বাসিন্দা অনুশ্রী। বুধবার ওই দুই নাবালিকাকে জুভেনাইল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের শিলায়ন হোমে রাখার নির্দেশ দেন। বহরমপুর থানার আইসি মোহায়মেনুল হক বলেন, “বাবা-মা তাদের দেখতে পারে না বলে দুই বোনেরই ক্ষোভ রয়েছে। ওই ক্ষোভ থেকেই তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে বলে জানায়। তবে ওদের কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে তাঁরা যখন বহরমপুরে এসে পৌঁছন, তত ক্ষণে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের নির্দেশে ওই নাবালিকাদের হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিন অভিভাবকদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়নি।”
|
বিশেষ ট্রেন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে বিশেষ ট্রেন ছাড়বে। ট্রেনটি লালগোলায় পৌঁছবে দুপুর ২টোয়। ফলে বাইরে কর্মরতদের উৎসবে বাড়ি ফিরতে সুবিধা হবে।
|
জাল নোটে কারবারের দায়ে বুধবার জঙ্গিপুর প্রথম ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারক শৈলেন্দ্রকুমার সিংহ দুই ব্যক্তিকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিলেন। সাজাপ্রাপ্ত লাবন মোমিন ও রিজুয়ান মোমিনের বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবপুরে। সরকারি আইনজীবী অরুণকুমার সরকার বলেন, “২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পুলিশ ওই দু’জনকে ধুলিয়ানের কলাবাগানের কাছ থেকে ৯১ হাজার টাকার জাল নোট সহ গ্রেফতার করে। সেই থেকেই জেল হাজতে থাকা অবস্থাতেই বিচার চলছিল তাদের। এ দিন বিচারক সাজা ঘোষণা করলেন।”
|
লরির ধাক্কার মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। নাম আজিজুল শেখ (৫৮)। বাড়ি সাগরদিঘির শিয়ারা গ্রামে। পুলিশ জানায়, ইফতারের জন্য বাজার সেরে বাড়ি ফেরার পথে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পড়শি গ্রাম রতনপুরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পিছন দিক থেকে আসা লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। |