প্রধান পদ নিয়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে গোঘাট ২ ব্লকের কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতে। সেখানের প্রধান পদটি সংরক্ষিত তপসিলি মহিলাদের। এ দিকে নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও তাদের মহিলা তফসিলি প্রার্থী কেউ জয়ী হননি। সিপিএমের জয়ী মহিলা তফসিলি প্রার্থীই এখন প্রধান পদের দাবিদার। যদিও মাত্র দু’টি আসনে জয়ী হয়ে তাঁদের মধ্যে কেউ প্রধান হবেন কিনা, বা হলেও কী পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে তাঁদের, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে সিপিএমের অন্দরে। প্রশাসনিক জটিলতার কথা ভাবাচ্ছে সরকারি আধিকারিকদেরও।
এই পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা জানতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব যেমন জেলা নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছেন, তেমনি সিপিএমও জেলা নেতৃত্বর কাছে প্রধান পদের দাবি করতে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন। এ নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “বিষয়টি নিয়ে এখনও কিছু ভাবিনি। তবে মহিলা যদি লিখিত ভাবে তৃণমূলে যোগ দিতে চান, তবে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।” অন্য দিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতে ১১টি আসনের মধ্যে আমাদের মাত্র ২ জন প্রার্থী জিতেছেন। তাই প্রধান পদের জন্য আমাদের জেতা প্রার্থীকে রাজি হওয়ার কথা বলব না। তৃণমূল দলটা ভাল হলে চিন্তাভাবনা করা যেত।”
গোঘাট ২ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতে পুইনা গ্রামের ১ নম্বর সংসদের আসনটি তপসিলি মহিলা সংরক্ষিত এবং প্রধান পদটিও তপসিলি মহিলা সংরক্ষিত। ওই আসনটি থেকে সিপিএমের লক্ষ্মী রায় তৃণমূলের বিষ্ণুপ্রিয়া মালিককে হারিয়ে দেন।
গোঘাট ২ বিডিও শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত বলেন, “পঞ্চায়েতের নিয়ম অনুযায়ী, সিপিএমের জয়ী তপসিলি মহিলা প্রার্থীই প্রধান হবেন। তিনি যদি প্রধান পদে প্রতিযোগিতা না করেন বা নাম তুলে নেন, তবে পর্বরতী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ চাওয়া হবে। সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ওই মহিলাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই অঞ্চলের তৃণমূল নেতা চঞ্চল রায় বলেন, “প্রধান পদের সমস্যা থেকে বের হতে সিপিএমের ওই মহিলাকে আমাদের দলে আনার কথা স্থানীয় ভাবে বলা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জেলা নেতৃত্ব।” কী বলছেন প্রধান পদের এক মাত্র দাবিদার লক্ষ্মী রায়? তিনি বলেন, “দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করব। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।” |