আড়াই বছরের মাথায় কোচবিহারের দিনহাটার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরীর মৃত্যুর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলছে। বিএসএফ সূত্রের খবর, কোচবিহার সেক্টরে আগামী ১৩ অগস্ট থেকে ওই প্রক্রিয়া শুরু হবে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অভ্যন্তরে ওই প্রক্রিয়ার নাম জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট। মৃতার পরিবারের সদস্যদের সেখানে সাক্ষ্য দিতে আসার কথা। বিএসএফের কোচবিহার সেক্টরের ডিআইজি দলবীর সিংহ সাঁধু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট ১৩ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে। কতদিন ওই প্রক্রিয়া চলবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।” বিষয়টি বিএসএফের তরফে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “বিএসএফের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকজন বাসিন্দাও আসবেন বলে শুনেছি। ওই প্রক্রিয়া চালাতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য করবে।” বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা ফেলানি খাতুন (১৫) নামে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার গায়ে বাঁধা মইয়ের ওপরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিশোরী বেআইনিভাবে সীমান্ত পারাপারে চেষ্টা করে থাকলে গ্রেফতার না করে কেন গুলি চালান হল, সেই প্রশ্নও বিভিন্ন মহলে ওঠে। বিএসএফের তরফে ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত হয়। ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল কমিটির দাবি, ফেলানি খাতুনের পরিবারের সঙ্গে কমিটির বাংলাদেশ শাখা নেতৃত্ব যোগাযোগ করেছেন। কমিটির সহকারি সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “ফেলানির বাবা নজরুল ইসলাম নূর-সহ ৩ জন ওই বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে কোচবিহারে আসছেন বলে জানিয়েছেন।” |