পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে উদ্যোগী হয়েছে কামতাপুর পিপলস পার্টি এবং কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। দু’দলের তরফে গ্রেটার কোচবিহার-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যৌথমঞ্চ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১১ অগস্ট শিলিগুড়িতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকের আগে আগামী শুক্রবার কামতাপুর পিপলস পার্টির সভাপতি নিখিল রায় এবং কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অতুল রায় ময়নাগুড়িতে আলোচনায় বসবেন। আগামী ৩০ অগস্ট শিলিগুড়িতে গণ জমায়েতের ডাক দিয়েছে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অতুল রায় বলেন, “শিলিগুড়ির গণ জমায়েত থেকে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে স্মারকলিপি পাঠানো হবে। এর পরেও সরকার আলোচনার টেবিলে না বসলে উত্তরবঙ্গ বন্ধের ডাক দেওয়া হবে।” একই দাবিতে ২১ অগস্ট জলপাইগুড়ি শহরে মহামিছিল করবে কামতাপুর পিপলস পার্টি। ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, কুমারগ্রামসহ নানা এলাকায় আন্দোলন করার প্রস্তুতি শুরু করেছে দল। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিখিল রায় বলেন, “আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি সহ নানা দল ও সংগঠনকে নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে।” দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ৭ জানুয়ারি কামতাপুর পিপলস পার্টি তৈরি হয়। ২০০৪ সালে ওই দল ভেঙ্গে অতুল রায়ের নেতৃত্বে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি তৈরি হয়। দুই দলের কর্মী ও নেতাদের একাংশ মনে করেন দল বিভাজনের ফলে কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন মার খেয়েছে। এই কারণে নিচুতলা থেকে দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপরে আলোচনায় বসে দূরত্ব কমানোর চাপ ছিল। সম্প্রতি তেলেঙ্গানার প্রশ্নে হইচই শুরু হতেই ওই চাপ প্রবলতর হয়েছে। |