প্রদেশকে হাল ছাড়তে বারণ রাহুলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দশ মাস বাদে লোকসভা ভোট। তার আগে পঞ্চায়েত ভোটে ভরাডুবির পর আজ রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকে গিয়ে আজ কার্যত হাত তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। দলীয় সূত্রের খবর, প্রদীপবাবু এ দিন রাহুলকে জানান, পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল খুবই হতাশাজনক। কিন্তু তাঁরা কী-ই বা করতে পারতেন! না আছে লোকবল, না আছে অর্থবল। তা ছাড়া বল্গাহীন সন্ত্রাসের সঙ্গে কংগ্রেস পেরে ওঠেনি। রাহুল এখন তিন মাস অন্তর একে একে সব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, পরিষদীয় দলনেতা এবং কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ডাকছেন। তার পর কঠোর ‘টাস্ক মাস্টার’-এর মতো জানতে চাইছেন এই তিন মাসে সংগঠনের কী অগ্রগতি হয়েছে। সেই সূত্রেই এ দিন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ সভাপতিকে বৈঠকে ডাকেন রাহুল। দলের তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সি পি জোশী ও সচিব শাকিল আহমেদ খানও ছিলেন। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রদীপবাবুকে রাহুল জানান, পঞ্চায়েত ভোটে ভরাডুবি হলেও হাল ছাড়া চলবে না। সংগঠনকে মজবুত করতে তিন মাসে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে কী কী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, প্রদীপবাবুর কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।
|
বেসরকারি চ্যানেল নিতে অনড় মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেন্দ্র যদি প্রসার ভারতী চালাতে পারে, তবে রাজ্য সরকার বেসরকারি টিভি চ্যানেল চালাতে পারবে না কেন? মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দৈনিক বসুমতী পত্রিকার শতবর্ষ উপলক্ষে এ দিন বউবাজারে বসুমতী ভবনের সামনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগ। সেখানেই বসুমতী সাহিত্য মন্দিরের নামে কর্পোরেশন তৈরি করে টিভি চ্যানেলগুলিকে বাঁচানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমরা কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল অধিগ্রহণ করে সেগুলির বিকাশ ঘটাতে চাই। এ ব্যাপারে বিল তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। এটা যদি আইনে আটকায় তবে আমরাও দেখব অন্য কোন মাপকাঠিতে এটা সম্ভব। হাল ছাড়ব না।”
|
বাস-মালিকদের সমস্যা মেনে নিচ্ছেন। কিন্তু এখনই বাসভাড়া বাড়ানো হবে না বলে মঙ্গলবার জানালেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। ৯ অগস্টের মধ্যে ভাড়া না-বাড়ালে তাঁরা ধর্মঘটে যাবেন বলে বাস-মালিকেরা ইঙ্গিত দিয়েছেন। মদনবাবু এ দিন তাঁদের উদ্দেশে বলেন, “ধর্মঘটে যাবেন না। মানুষের সমস্যা হবে।” রাজ্যের কোটি কোটি টাকার দেনার কথা তোলেন মন্ত্রী। তিনি বাস-মালিকদের বলেন, “আমরা মানুষের উপরে চাপ বাড়াব না। আমরা কষ্ট করছি, আপনারাও কিছু দিন কষ্ট করুন।” রাজ্যের আর্থিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে বাস-মালিকদের এত সমস্যা থাকবে না বলে মন্তব্য করেন মদনবাবু। মন্ত্রী কিছু করবেন, আশায় আছেন মালিকেরা। |