চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়।
হাসপাতাল এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত রোগীর নাম নৃপেন পাল (৬৫)। চোপড়ার বাসিন্দা নৃপেনবাবু গত ১৬ জুলাই পথ দুর্ঘটনায় জখম হন। মাথায় চোট এবং পা ভাঙা অবস্থায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। কিছু দিন চিকিৎসার পর ফের তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাড়ির লোকদের অভিযোগ, হাসপাতালে ঠিক মতো চিকিৎসকরা দেখেননি। অধিকাংশ সময় জুনিয়র ডাক্তাররাই চিকিৎসা করছিলেন। সময় মতো স্যালাইন, ওষুধ দেওয়া হত না। নার্সরাও ওই রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন বলে পরিজনদের অভিযোগ।
হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়। ওই রোগীর মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন থাকলেও পরিস্থিতি যে অবস্থায় ছিল তাতে এখনই তা করা সম্ভব ছিল না। সে কারণেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এ দিন মারা যান।” মৃতের পরিবারের দাবি, চিকিৎসক ঠিক মতো চিকিৎসা করেনি বলেই নৃপেনবাবুকে মরতে হল। নার্সিংহোমের চিকিৎসক জানিয়েছিলেন মাথার আঘাত গুরুতর নয়। সমস্যা পা নিয়েই। সেই কারণে চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অথচ সেখানে ঠিক মতো চিকিৎসা করা হয়নি। নৃপেনবাবুর স্ত্রী নিয়তি দেবীর দাবি, “ওষুধ, স্যালাইন ঠিক মতো দেওয়া হত না। চিকিৎসার অভাবেই এ ভাবে ওঁকে মরতে হল।” |