ছ’মাসের বেশি সময় প্যাথোলজিস্ট নেই। রক্তে শর্করার পরিমাণ থেকে যাবতীয় পরীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করছেন কারিগরি কর্মীরা। অ্যানেসথেটিস্ট পদ তিন মাস ফাঁকা পড়ে রয়েছে। একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অ্যানেসথেটিস্ট আছেন, তবে তিনি ছুটিতে গেলে অস্ত্রোপচার বন্ধ থাকে। হাসপাতালের রক্ত সংরক্ষণ কেন্দ্র বেহাল। মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে এমনই অভিযোগ।
সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার রণজিৎ মণ্ডল বলেন, “প্যাথলজিস্ট অবসর নেওয়া, বিশেষজ্ঞ অ্যানেসথেটিস্ট উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।” মিহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মহকুমাশাসক অগাস্টিন লেপচা বলেন, “শূন্য পদ পূরণের চেষ্টা হচ্ছে। ব্লাড ব্যাঙ্ক গড়ার প্রস্তাবও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
দিনহাটার বাসিন্দাদের অভিযোগ মহকুমা হাসপাতাল হলে, সে ভাবে উন্নতি হয়নি। হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ প্যাথোলজিস্ট প্রায় ছয় মাস আগে অবসর নিয়েছেন। তার পরিবর্তে সেই দায়িত্বে অন্য কাউকে স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাঠানো হয়নি। রক্তের গ্রুপ নির্ণয় থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টে ভুলভ্রান্তি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলে কর্তৃপক্ষের একাংশ স্বীকার করেন। রক্ত সংরক্ষণ কেন্দ্রটি বেহাল। বেশির ভাগ সময় চাহিদা মত রক্ত না মেলায় রোগীর আত্মীয়দের কোচবিহারে যেতে হয়। হাসপাতালে পরিকাঠামো সংস্কার করার দাবিতে দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের তরফে দ্রুত আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক বলেন, “মহকুমা হাসপাতালে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। টেকনিশিয়ানরা নানা পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ায় ভুলের আশঙ্কা থাকছে। প্রায় প্রতি মাসেই হঠাৎ করে অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া রোগীর পরিবারের রাত্রিবাসের পরিকাঠামোও বেহাল হয়ে রয়েছে।”
|