মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হয়েছিল আগেই। এ বার জেলার মহকুমা হাসপাতালেও ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালুর সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। চলতি মাসের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’টি মহকুমা হাসপাতাল এবং ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ওই দোকান চালুর চেষ্টা চলছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ১৪ অগস্ট ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে এই দোকান চালু হবে। তারপর ঘাটাল ও খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালেও চালু হবে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। কোথায় চালু হবে তা-ও নির্দিষ্ট হয়েছে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গি বলেন, “চলতি মাসেই ওই তিনটি হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান খোলার পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রয়োজনে সরকারি হাসপাতালগুলিও ওষুধ কিনতে পারবে। এতে সরকারি অর্থের সাশ্রয় হবে।”
নিয়ম অনুযায়ী, জেলা স্বাস্থ্য দফতরই বিভিন্ন হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করে। সরকার অনুমোদিত সংস্থার থেকে সব ওষুধ কেনার কথা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ওষুধ সরবরাহে খামতি থেকে যায়। তখন সঙ্কট কাটাতে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানীয় ভাবে ওষুধ কেনা যায়। জানা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি ওষুধের সরবরাহ ঠিক থাকলেও কিছু চিকিৎসক সরকার অনুমোদিত সংস্থার বাইরের সংস্থা থেকে ওষুধ কেনেন। এ ক্ষেত্রে গোপন যোগসাজশ ও আর্থিক লেনদেন হয় বলে অভিযোগ। ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান থাকলে এই পরিস্থিতি আটকানো যাবে। এই দোকানে ওষুধের তালিকা থাকে। কোন ওষুধ কত শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হয় তা-ও থাকে। বিভিন্ন ওষুধ ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ ছাড়েও পাওয়া যায়। কেউ ব্যক্তিগত ভাবে ওষুধ কিনলেও ছাড়ের সুযোগ পাবেন।
এই তিনটি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু হলে মহকুমা স্তর পর্যন্ত জেলার সব হাসপাতালেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। তবে গ্রামীণ হাসপাতালে আপাতত এ রকম দোকান চালুর পরিকল্পনা নেই সরকারের। এতদিন শুধু মেদিনীপুর মেডিক্যালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকান থাকায় জেলার বহু মানুষ এই পরিষেবা নাগালের মধ্যে পেতেন না। এ বার সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতিতেও রাষ টানা যাবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
|