বাংলার দল নির্বাচনকে ঘিরে আবার বিতর্ক বেধে গেল সিএবি-তে। সোমবার বুচিবাবুর জন্য বাংলা দল নির্বাচন হয়ে গেল। কিন্তু নির্বাচকদের ‘ব্রাত্য’ রেখে!
ঘটনাটা কী?
নির্বাচকদের অভিযোগ, দল নির্বাচন নিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। টিম কী হতে পারে, ঋদ্ধিমান সাহা বা লক্ষ্মীরতন শুক্লকে যখন পাওয়া যাচ্ছে না তখন কাকে ক্যাপ্টেন করা উচিত, সে ব্যাপারেও কথা বলা হয়নি। যা নিয়ে চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করছেন নির্বাচকরা। বলা হচ্ছে, সিএবি-কে বারবার বলা সত্ত্বেও একই জিনিস ঘটে চলেছে।
নির্বাচক প্রধান দীপ দাশগুপ্ত বা অন্যতম নির্বাচক ইন্দুভূষণ রায় দল নির্বাচন নিয়ে কেউ কিছু জানতেন না। সিএবি থেকে কেউ নাকি যোগাযোগও করেনি। বৈঠকে বাংলার নব-নিযুক্ত কোচ অশোক মলহোত্র ছিলেন শুধু। অনুষ্টুপ মজুমদারকে অধিনায়ক বেছে টিম যাচ্ছে বুচিবাবুতে। যা দেখেশুনে এক নির্বাচকের ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “আমাদের কমিটিটা রেখে আর লোক হাসানো হচ্ছে কেন? সিএবি সচিবই টিম করুন। অশোক যে কোচ হয়ে প্রথম সভায় এল, কী ভাবল? দেখল, নির্বাচক বলে কিছুর অস্তিত্বই নেই!”
সিএবি সংবিধান বলছে, বার্ষিক সভার পর সমস্ত কমিটিই ভেঙে ফেলা হয়। নির্বাচন কমিটিরও তখন অস্তিত্ব থাকে না। নতুন নির্বাচন কমিটি গঠিত হয় ১৫ সেপ্টেম্বরের পর। ময়দানের দলবদল শেষে। অর্থাৎ, মাঝ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিটির সরকারি অস্তিত্ব থাকে। অভিযোগে যাঁকে নিশানা করা হচ্ছে, সেই সিএবি যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায় বলছেন, “নির্বাচকদের প্যানেলটাই তো এখন সরকারি ভাবে নেই। তবু আমি যাঁদের সঙ্গে পেরেছি, কথা বলেছি।” যা শুনে নির্বাচকদের পরিষ্কার বক্তব্য, কোনও কথা হয়নি।
বরং পাল্টা বলা হচ্ছে, কোনও নির্বাচকেরই এ বার মেয়াদ শেষ হচ্ছে না। যাঁরা ছিলেন, তাঁরাই থাকবেন। নিয়ম নিয়ে না ভেবে ফোনে কথা বলতে কী অসুবিধে ছিল? ডাকলে যে তাঁরা আসতেন না, এমনও নয়। সংবিধানে তো এটা বলা নেই যে, এই দু’মাস নির্বাচকদের দায়িত্ব থাকবে না। বিশেষ করে রঞ্জির আগে এটা বড়সড় প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট। আরও অভিযোগ, শেষ ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে বিবেক সিংহ ও অভিষেক দাসকে পাঠান নির্বাচকরা। অথচ বুচিবাবুতে দু’জনের একজনও নেই। বরং সৌরভ মন্ডল আছেন, যাঁর সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ আছে নির্বাচকদের।
কেউ কেউ এতটাই অসন্তুষ্ট যে, টিম কী হল পরে জিজ্ঞেসও করতে যাননি যুগ্ম সচিবকে। এক জন শুধু বললেন, “জগমোহন ডালমিয়ার কাছে আবার যাব। আমাদের যখন ডাকাই হবে না, তখন বাংলা খারাপ পারফর্ম করলে গালিগালাজটাও যেন আমাদের না খেতে হয়।” |