বিজয় মিছিল থেকে এক তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করে স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং শ্যালিকাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মারমুখী সিপিএম সমর্থকেরা ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানিও করে। তাঁদের হাসপাতালে যেতেও বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে সিপিএমের লোকজনের ঘেরাওয়ের মুখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার বেলুন-ধামাসিন পঞ্চায়েতের ভায়রা গ্রামে। সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “পাণ্ডুয়ায় একটা গোলমাল-মারধরের ঘটনা ঘটেছে। প্রহৃত পরিবারের তরফে দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
হুগলিতে সার্বিক ভাবে তৃণমূল জিতলেও পাণ্ডুয়ায় উল্টো ফল হয়েছে। এখানে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের অধিকাংশ আসন সিপিএম দখল করেছে। বেলুন-ধামাসিন পঞ্চায়েতেও সিপিএম জিতেছে। এ দিন দুপুরে বিজয়-মিছিল বের করে সিপিএম। তৃণমূলের ওই নেতার অভিযোগ, এ দিন বেলা ৩টে নাগাদ সিপিএমের লোকজন তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। তিনি বলেন, “ওরা আমাকে মারতে গেলে ছোট মেয়ে বাধা দেয়। তখন তাকে সিপিএমের লোকজন বেধড়ক মারে। বড় মেয়েকেও ওরা পেটায়। স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেয়।”
তৃণমূল নেতার অভিযোগ, “ওদের মিছিলে পুলিশ মিছিলে ছিল। ওরা মাঝপথে পুলিশকে বলে মিছিল শেষ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ ফিরে যেতেই পরিকল্পিত ভাবে ওরা আমার বাড়িতে আক্রমণ করে।” প্রহৃত তৃণমূল নেতার ছোট মেয়ে কলকাতা ময়দানে ফুটবল খেলে। তাকে আহত অবস্থায় পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিত্সা চলছে।
পাণ্ডুয়ার তৃণমূল নেতা অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতে জিতেই ওরা পেশিশক্তি দেখানোর খেলায় মেতেছে।” পাণ্ডুয়ার সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের অবশ্য বক্তব্য, “ওখানে পারিবারিক গোলমালের জেরে একটা ঘটনা ঘটেছে। কোনও মারধর অবশ্য হয়নি। অকারণেই আমাদের দলকে এর সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে। সবটাই রটনা।”
|