বুকিং শুরু পুজোয়
পর্যটক টানতে নতুন কটেজ জয়ন্তী, নিমতিতে
ঙ্গলের ঘেরাটোপে নির্জন পরিবেশ। পাশ দিয়ে সর্পিল গতিতে বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি নদী। কিছুটা দূরে ভুটান পাহাড়। ডুয়ার্সের জয়ন্তী এবং নিমতি বললেই এমনই দৃশ্য চোখে ভেসে ওঠে পর্যটকদের। এবার পর্যটকদের আরও বেশি করে আকর্ষণ করতে জয়ন্তী এবং নিমতিতে তৈরি হচ্ছে ৯টি কটেজ। মোট ১৮টি ঘর রয়েছে কটেজগুলিতে। সবকটি ঘরেরই বুকিং মিলবে আগামী পুজোর মরসুম থেকে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কটেজগুলি তৈরির কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে চলছে। এধরণের আরও ১৮টি কটেজ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এলাকায় তৈরি হবে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা জেভি ভাস্কর বলেন, “পাকা ভিতের উপর তৈরি একটি কটেজের ঘরে দু’জন করে পর্যটক থাকতে পারবেন। বন উন্নয়ন নিগম এই কটেজ তৈরির কাজটি করছে। পাশাপাশি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকায় পর্যটকদের কার সাফারির বিষয় নিয়ে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কমিটির সঙ্গে কথা চলছে আমরা বিষয়টি প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য কাগজ পাঠিয়েছিলাম তাঁরা কিছু সংশোধনের কথা বলেছেন। আশা করছি দ্রুত কার সাফারির অনুমতিও মিলবে।”
শেষের মুখে জয়ন্তীর কটেজ তৈরির কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গলের নির্জন পরিবেশে রাত্রিবাসের পাশাপাশি জঙ্গলে কার-সাফারির অনুমতি মিললে সেটি পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণের কাজ করবে বলে বন দফতর মনে করছে। সে কারণেই পুজোর মরসুম থেকে শুরু করে পুরো শীতের মরসুমে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে বলেই বন দফতরের আশা।
বন উন্নয়ন নিগমের বক্সা লগিং বিভাগের বিভাগীয় ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, “পর্যটন দফতরের তরফে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। তা দিয়ে পর্যটনের প্রসারের জন্য বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় ১৮টি জোড়া কটেজ তৈরির কাজ চলছে। যার মধ্যে জয়ন্তীতে ছয়টি, নিমতি এলাকায় তিনটি কটেজের কাজ প্রায় শেষের মুখে।”
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়মাটাং পাহাড়ের বন বাংলোর সামনে তিনটি, বক্সা দুর্গের কাছে তিনটি ও বারবিশার শিলবাংলো এলাকায় তিনটি কটেজের কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। জয়ন্তী এবং নিমতি এলাকায় কটেজগুলিতে বিদ্যুৎ, পানীয় জল এবং শোচাগারের কাজ শেষ হলেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমাবস্থায়, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে বুকিং করা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কটেজের ভেতরে হাতি বা বন্য প্রাণীদের গতিবিধি রুখতে বিদ্যুতের তার দিয়ে পুরো চত্বরটি ঘিরে রাখা হবে। কটেজের আশেপাশে পরিখাও খোঁড়া করা হবে। কটেজের সামনের চত্বরে বাগান করার পাশাপাশি আগুন পোহানো বা ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। জয়ন্তী টুরিস্ট গাইড ইউনিয়নের সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য বলেন, “২০১১ সালে জয়ন্তী বন বাংলো পুড়ে যাওয়ার পরে বহু পর্যটক অন্যত্র চলে যেতেন। কটেজগুলি তৈরি হলে এবার পর্যটন মরসুমে পর্যটকদের আরও বেশি ঢল নামবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.