নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
ফের জেলা সদরে এক মহিলাকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। সোমবার সকালে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের ওই ঘটনায় এ বার নিগ্রহের শিকার হলেন এক বধূ। গৌতম চৌধুরী নামে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাড়ি সিউড়িতেই।
পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী ওই বধূর অভিযোগ, বাসের মধ্যে ওই যুবক তাঁকে বারবার কটূক্তি করছিলেন। ওই বধূ প্রতিবাদ করলে বাসের সহযাত্রীরা যুবককে ধরে ফেলেন। তাঁরাই অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিণী সিউড়ি থানায় ওই যুবকের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করে শ্লীলতাহানির চেষ্টার মামলা শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সিউড়ির বাসিন্দা ওই স্বাস্থ্যকর্মী এ দিন কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসে উঠে বসেছিলেন। তখনই অভিযুক্ত যুবক বাসে চড়ে ওই বধূর কাছে চলে আসেন। এরপরেই সেই যুবক প্রকাশ্যে ওই বধূকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করা ছাড়াও তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বধূ চিৎকার করে প্রতিবাদ জানালে সহযাত্রীরা যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই বধূর দাবি, “ওই যুবকের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও সে গত কয়েক দিন ধরে আমাকে নানা ভাবে বিরক্ত করছে।” ধৃত যুবক অবশ্য দাবি করেছে, ওই মহিলা তার পূর্ব পরিচিত। তিনি মিথ্যা ভাবে তাঁকে ফাঁসিাচ্ছেন। ওই বাসেরই এক সহযাত্রী অবশ্য বলছেন, “পূর্ব পরিচয় থাকলেও কি কোনও মহিলাকে নিগ্রহ করার অধিকার জন্মায়?”
সম্প্রতি সিউড়িতে এমন ঘটনা বাড়ছে। প্রকাশ্যে মেয়েরা নিগ্রহের স্বীকার হলেও পুলিশ কোনও অপরাধ ঠেকাতে পারছে না। এমনকী অভিযোগ জমা পড়লেও ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রেও পুলিশ সক্রিয় হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যে। গত মঙ্গলবারই সিউড়ি মাদ্রাসা রোডে টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে কয়েক জন যুবক ইভটিজিং করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই যুবকেরা ছাত্রীর দাদাকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনায় যুক্তদের কয়েক জনের নামে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ আজও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি। |