পাশে দাঁড়ানোর আবেদন নিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে পথে নামলেন বর্ধমানের দাঁইহাটে নিহত গণেশ মুর্মুর দিদি-বোন। তবে দু’দিন পেরিয়ে গেলেও আততায়ীদের কাউকে পুলিশ ধরতে পারেনি।
রবিবার ভোরে বাড়িতে চড়াও হওয়া দুষ্কৃতীদের হাত থেকে দিদি-বোনের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে খুন হন গণেশ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবারই রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ও মহিলা কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন দুই বোন। রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং বর্ধমানের জেলাশাসককেও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে। |
আজ, মঙ্গলবার মানস ভুঁইয়ার নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের দাঁইহাট যাওয়ার কথা।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশন বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে। পুলিশের সন্দেহ, খুনিরা এলাকারই বাসিন্দা। এমনকী গণেশের আত্মীয়দের কারও-কারও সঙ্গে তাদের চেনাজানাও থাকতে পারে। তবে পুলিশের দাবি, গণেশের বাড়ির লোকজন জেরায় প্রায় মুখই খুলতে চাইছেন না। সেই কারণে তদন্তে দ্রুত এগোনো যাচ্ছে না। |
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন বিকেলে দাঁইহাট চৌরাস্তা মোড়ে ‘নাগরিকবৃন্দ’-র তরফে পথ অবরোধ করা হয়। ‘আমরা বিপন্ন, আমাদের পাশে দাঁড়ান’ এবং ‘আমার ভাইয়ের খুনিদের শাস্তি চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে ছিলেন গণেশের দিদি-বোনও। কিন্তু ঘণ্টাখানেক বাদে রাস্তা ছাড়া নিয়ে মোটরবাইকে আসা দুই যুবকের সঙ্গে মারপিট বেধে যায় অবরোধকারীদের। দুই অবরোধকারী এবং এক যুবক জখম হন। ভাঙচুর করা হয় বাইকটি। |
রাজনীতির দড়ি টানাটানি অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছে। এ দিন পথ অবরোধে ছিলেন সিপিএমের কাটোয়া জোনাল কমিটির সদস্য জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায়ও। তবে তাঁর দাবি, “এলাকার মানুষ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দেখে স্থানীয় বধূ হিসেবেই পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।” বর্ধমান শহরে এক সভায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “কাটোয়ায় ট্রেনে ধর্ষণের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সাজানো ঘটনা। একের পরে ধর্ষণ করে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলেই অপরাধ বাড়ছে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি (গ্রামীণ) তথা প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ পাল্টা বলেন, “খুবই খারাপ ঘটনা। তবে সিপিএম রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। পথ অবরোধের নামে তাণ্ডব চালিয়েছে।”
|