বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে বধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে ধরে পুলিশের হাতে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্ত্রীর চিৎকার শুনে স্বামী যুবককে বাধা দিতে গেলে যুবককটি ছুরি চালাতে শুরু করে। ছুরির আঘাতে বধূর স্বামীর হাতে, কানে আঘাত লেগেছে। শনিবার রাতে তুফানগঞ্জ থানার নাটাবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাটবড়চৌকি এলাকার ঘটনাটি। কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম কমলেশ দেবনাথ। একই গ্রামে যুবকের বাড়ি। ধৃত যুবক পেশায় ভ্যান চালক, বছরখানেক আগে সে বিয়েও করেছে। শনিবার রাতে প্রতিবেশী ওই বধূর ঘরে ঢোকে। ঘরের এক কোনায় অন্য বিছানায় বধূর স্বামী ঘুমোচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অন্ধকারে বধূর স্বামী ঘরে রয়েছে ঠাউর করতে না পেরে ওই যুবক বধূর উপর ঝাপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। গৃহবধূর চিৎকারে একই ঘরের অন্য বিছানা থেকে উঠে আসেন তার স্বামী, সেসময় বধূর স্বামীর উপরে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় অভিযুক্ত যুবক। বধূর চিৎকার শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা চলে আসেন। অভিযুক্ত যুবককে ধরে, পড়শিরা পুলিশে খবর দেন।
পেশায় রিকশা চালক ওই বধূর স্বামী বলেন, “গরম বেশি থাকায়, বাচ্চাদের নিয়ে আমি অন্য একটি বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম। আচমকা স্ত্রীর চিৎকার শুনে উঠে পড়ি। ওই যুবককে ধরতে গেলে, ধ্বস্তাধ্বস্তির মধ্যেই ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। হাতে ও কানে চোট পাই। তারপরে যুবকটি পালাতে চেষ্টা করছিল, সে সময়ে পড়শিরা এসে ওকে ধরে ফেলেন।”
ছুরির আঘাতে জখম বধূর স্বামীকে একটি ওষুধের দোকানে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার এক বাসিন্দা গৌতম রায় বলেন, “এ ঘটনার পরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টার পাশাপাশি বধূর স্বামীর উপর হামলার ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।” নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “এ ধরণের ঘটনা বরদাস্ত করা যায় না। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি।” |