বামেদের বিপর্যয় মানছেন না মানিক
ঞ্চায়েত ভোটে বিপর্যয়কে বাংলায় বামেদের বেহাল দশার ছবি বলে মনে করছেন না দেশের একমাত্র বাম-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরা সিপিএম বরং আড়াই দশক আগে তাদের রাজ্যের অভিজ্ঞতার সঙ্গে এখনকার পশ্চিমবঙ্গের ছবির মিল পাচ্ছে। সুদূর দক্ষিণের কেরলও দাঁড়াচ্ছে আলিমুদ্দিনের পাশেই।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের ফল নিয়ে এমনিতে বিশদ মন্তব্যে যেতে এখনও রাজি নন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর মতে, বাংলার বাম নেতৃত্ব ফলাফল পর্যালোচনা করবেন। কারণ অনুসন্ধান করবেন। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবু তার মধ্যেই মানিকবাবুর প্রাথমিক বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের ফল দেখে এ রাজ্যে বামেদের যে সার্বিক বিপর্যয়ের কথা মনে হচ্ছে, আদতে অবস্থা তেমন নয়।
সিপিএমের এই পলিটব্যুরো সদস্যের কথায়, “প্রাথমিক ভাবে রাজ্য বামফ্রন্ট নেতারা বলেছেন, মানুষের রায়ের সঠিক প্রতিফলন এই রায়ে হয়নি। সেটা অবিশ্বাস বা অস্বীকার করার কোনও কারণ তো নেই! সঠিক, সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, এই নির্বাচন সেটা হয়নি।”
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে রাজ্যে এসেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। বেশির ভাগ সভা করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনায়। যেখানে এ বার বামেদের ফল দক্ষিণবঙ্গের অন্য অংশের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে একটু ভাল। মানিকবাবুর অভিমত, “পশ্চিমবঙ্গের সরকার অনেক প্রতিশ্রুতি রাখছে না। যা বলছে, তা করছে না। মানুষের মধ্যে কিছু প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। ভোটে যেখানে যেখানে পরিবেশটা একটু হলেও উন্নত ছিল, সেখানে রুখে দাঁড়ানো গিয়েছে!” আর কেরল থেকে দলের আর এক পলিটব্যুরো সদস্য এম এ বেবি গত অক্টোবরে জঙ্গিপুর লোকসভা উপনির্বাচন, গত ফেব্রুয়ারিতে তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচন এবং গত জুনে হাওড়ায় লোকসভা উপনির্বাচনের কথা তুলছেন। “উপনির্বাচনগুলির কোনওটিতেই বামেদের নতুন করে বিপর্যয়ের কোনও প্রবণতা জনতার রায়ে দেখা যায়নি। পঞ্চায়েতে সব একেবারে উল্টো হয় কী করে?” প্রশ্ন তুলছেন তিনি। “এটা এমন একটা নির্বাচন, যেখানে বাম, কংগ্রেস, এসইউসি, এমনকী, নির্দলেরাও তৃণমূলের আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি! ভোটে সন্ত্রাস থেকে গণনায় কারচুপি এই নির্বাচন থেকে কিছু যে ধরে নেওয়া যায় না, কেরলে বসেও সকলে বুঝতে পারছেন,” বলছেন বেবি।
দিল্লিতে আগামী ১৬ অগস্ট পলিটব্যুরো এবং ১৭, ১৮ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসছে সিপিএমের। যেখানে আগামী লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে বামেদের পঞ্চায়েত-ফল বিশ্লেষণে উঠে আসবে। দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যায়, কেরল ও ত্রিপুরার সিপিএম পাশে থাকায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে খানিকটা চাপমুক্তই থাকতে পারবেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।
তবে কলকাতায় ২২ থেকে ২৫ অগস্ট রাজ্য কমিটি ও বর্ধিত রাজ্য কমিটির যে বৈঠক ছিল, তা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। শুধু ২২ অগস্ট একদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক বসতে পারে বলে সিপিএম সূত্রের খবর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.