দিন দশেকের মধ্যে জোড়া নিম্নচাপের ধুন্ধুমার বর্ষণে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টি-ঘাটতি প্রায় মিটে এসেছে। মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় যেটুকু ঘাটতি রয়ে গিয়েছে, তা পুষিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আবার ঘূর্ণাবর্ত হাজির হয়েছে বঙ্গোপসাগরে! আজ, সোমবার সেটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আবহবিজ্ঞানীরা মনে করছেন। তাঁরা বলছেন, ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হলে অগস্টের গোড়াতেই দক্ষিণবঙ্গে ফের সক্রিয় হতে পারে বর্ষা।
এ বার ঠিক সময়ে বর্ষা এসে প্রথম দিকে ভাল বৃষ্টিও দিয়েছিল। পরে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যায়। তাই ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। দিল্লির মৌসম ভবন বলছে, রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টি, অল্পবৃষ্টি আর অতিবৃষ্টির গড় হিসেব ধরলে গোটা দক্ষিণবঙ্গে মোটামুটি স্বাভাবিক বর্ষণই হয়েছে। তবে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ার পরে সে-ভাবে বৃষ্টি না-হওয়ায় ফিরে এসেছে ভ্যাপসা গরম। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বাধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতাও ছিল ৯৫ শতাংশ।
তবে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়াতেই যে এমন আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে, আবহবিদেরা তা পুরোপুরি মেনে নিতে রাজি নন। তাঁরা বলছেন, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি না-হওয়ার অন্যতম কারণ মৌসুমি অক্ষরেখার স্থান বদলও। আবহবিজ্ঞানীরা জানান, ঝাড়খণ্ড থেকে ওড়িশার বালেশ্বরের উপর দিয়ে মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে নিম্নচাপ ঘনীভূত হলে সেই বৃষ্টিরেখা আবার দক্ষিণবঙ্গে ফিরে আসতে পারে।
মাঝখানে বেশ কিছু দিন বৃষ্টি না-হলেও অবশ্য গোটা দক্ষিণবঙ্গে গড় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক রয়েছে বলেই মৌসম ভবন সূত্রের খবর। এবং তার বেশির ভাগ কৃতিত্বই জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে হাজির হওয়া জোড়া নিম্নচাপের। আবহবিদেরা জানান, নিম্নচাপের অভাবে জুনের মাঝামাঝি থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি-ঘাটতি বাড়ছিল। আমন ধানের চাষে তার প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছিলেন চাষিরা। তবে জুলাইয়ের শেষে জোড়া নিম্নচাপের দাপটে সেই ঘাটতি অনেকটাই মিটে গিয়েছে। তবে বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে এখনও কিছু ঘাটতি আছে বলে আবহবিদেরা জানান। তাঁরা মনে করছেন, আগামী কোনও নিম্নচাপ ফের অতিবৃষ্টি ডেকে আনলে ওই সব জেলাতেও বৃষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে। সে-ক্ষেত্রে আবার বন্যার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। বৃষ্টি-ঘাটতি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া দুই রাজ্য বিহার-ঝাড়খণ্ডেও। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী চলতি মরসুমে রবিবার পর্যন্ত ওই দুই রাজ্যে যথাক্রমে ৩২ এবং ৩০ শতাংশ বৃষ্টি-ঘাটতি রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন না আবহবিজ্ঞানীরা। |
সংগঠনে রদবদলের পথে কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েত ভোটের বিপর্যয়ের পরে জেলা স্তরে নেতৃত্বে রদবদলের পথে হাঁটতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস। প্রয়োজন মতো জেলা ও ব্লক সভাপতি রদবদলের পাশাপাশি দলের কার্যপদ্ধতিও ঢেলে সাজার কথা ভাবছে তারা। রবিবার গোটা দশেক জেলার সভাপতি ও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বৈঠকে এআইসিসি-র প্রতিনিধি শাকিল আহমেদ খান তেমনই পরামর্শ দিয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।পঞ্চায়েত ফলের রিপোর্ট নিতে গিয়ে অনেক জেলার কাছ থেকেই শাকিল সাংগঠনিক দুর্বলতার অভিযোগ পেয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। দীর্ঘদিন ধরে জেলা বা ব্লকের সভাপতি থাকা সত্ত্বেও যাঁদের এলাকায় সংগঠন নড়বড়ে, তাঁদের দ্রুত পরিবর্তনের কথা বলেছেন তিনি। বৈঠকের পরে শাকিল এ দিন নিজে কিছু বলতে রাজি না হলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “যেখানে যেখানে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে, সেই কর্মী-নেতাদের বদলে অন্য মুখ আনার নির্দেশ দিয়েছেন শাকিল। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দ্রুত সেই রদবদল করতে বলেছেন উনি।” |