|
|
|
|
তৃণমূলের বিজয়োৎসবে বিরোধীদের মারধর পূর্বে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পঞ্চায়েত ভোটের বিজয়োৎসবেও সন্ত্রাসের ছায়া। কোথাও তৃণমূল মার খাচ্ছে সিপিএমের হাতে, কোথাও সিপিএম আক্রান্ত নিজে।
যেমন, সুতাহাটায় পটকা ফাটানোয় প্রতিবাদ করায় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা-সহ তিন জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে সুতাহাটার চৈতন্যপুরের ভুপতিনগর গ্রামে এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার পঞ্চায়েতে সিপিএম জয়ী হওয়ায় এ দিন দুপুরে ভোজের আয়োজন ছিল। তাতে যোগ দেওয়া কিছু সিপিএম সমর্থক রাস্তায় পটকা ফাটাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় একটি পটকা সদানন্দ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে গেলে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, এর পরেই সমীরণ দাস, সৌমেন দাস, চিরঞ্জীত মণ্ডল-সহ পাঁচ সিপিএম কর্মী বাড়িতে চড়াও হয়ে সদানন্দবাবুকে বেধড়ক মারধর করে। বাধা দিতে গিয়ে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সরস্বতীদেবী ও ভাই আনন্দও প্রহৃত হন। তিন জনকেই হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সদানন্দবাবুকে ভর্তি নিয়ে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের ওই বুথের সম্পাদক সঞ্জয় দাসের অভিযোগ, “সিপিএম কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় আমাদের কর্মীদের ঘরে পটকা ছুড়ছিল। তার প্রতিবাদ করায় আমাদের এক কর্মীর পরিবারের ওপর অত্যাচার চালানো হয়।” মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম।
এ দিকে, রবিবার দুপুরে পাঁশকুড়া থানার মাইশোরা পঞ্চায়েতের পাটনা গ্রামে বিজয় মিছিল করে যাওয়ার সময় সিপিএম সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবার নির্বাচনে মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিএমের হাত থেকে তৃণমূলের দখলে এসেছে। তাই এ দিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ পাটনা গ্রামের তৃণমূল সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করে। অভিযোগ, মিছিল এলাকা পরিক্রমা করার সময় তৃণমূল সমর্থকরা স্থানীয় সিপিএম সমর্থক প্রদীপ বেরাকে মারধর করে। অন্য এক সিপিএম সমর্থক প্রতিমা আদকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে।
সিপিএমের পাঁশকুড়া উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক কালীপদ মণ্ডলের অভিযোগ, “তৃণমূল সমর্থকরা বিজয় মিছিলের নামে আমাদের সমর্থকদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।” তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি দীপ্তিকুমার জানা অবশ্য বলেন, “পাটনা গ্রামে দলের বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে একটা ছোট গোলমাল হয়েছে। তবে সিপিএম সমর্থকদের মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।” |
|
|
|
|
|