|
|
|
|
তৃণমূলের সংবর্ধনা |
দুর্নীতিমুক্ত থাকুন, বার্তা নির্বাচিতদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সংবর্ধনা সভাতেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে দলের নির্বাচিত সদস্যদের দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের কথায়, “সিপিএম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাই তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমাদের কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে তাঁকেও মানুষ প্রত্যাখান করবেন।” একধাপ এগিয়ে দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতির বক্তব্য, “আমরাও জেলা থেকে নজর রাখছি। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এলে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সততার সঙ্গে কাজ করলে মানুষ সব সময় আপনার পাশে থাকবেন।”
একদা লালদুর্গ বলে পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম ধুয়েমুছে সাফ হয়েছে। জেলার সর্বত্র সবুজের রমরমা। ৬৭টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ৬৪টি তৃণমূলের দখলে এসেছে। ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২৮টিই শাসক দলের দখলে। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের মতে, এলাকা বিরোধী-শূন্য থাকার সুযোগ নিয়ে একাংশ নির্বাচিত সদস্য দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারেন। পরবর্তী সময়ে যা দলের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। |
|
জেলা পরিষদে জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা। —নিজস্ব চিত্র। |
এমন আশঙ্কাকে উড়িয়ে না-দিয়েই নির্বাচিত সদস্যদের মানুষের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব। শনিবার মেদিনীপুর শহরের এক সভাঘরে দলের জয়ী জেলা পরিষদ প্রার্থীদের সংবর্ধিত করে তৃণমূল। জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন দুই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং সুকুমার হাঁসদা, দলের দুই জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ এবং নির্মল ঘোষ প্রমুখ। দলের বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভার গোড়ায় প্রদ্যোৎবাবু সগর্বে ঘোষণা করেন, “আমাদের জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথম হয়েছে! এত ভাল ফল আর অন্য কোনও জেলায় হয়নি। হুগলি-বীরভূমেও না। যদি আমরা সকলে মানুষের মধ্যে থেকে কাজ করতে পারি, তাহলে আগামী ২৫ বছরে আর সিপিএম এ জেলায় পায়ের তলায় মাটি পাবে না।” নির্মলবাবু বলেন, “কিছু সমস্যা হলে জেলায় জানাবেন। জেলা থেকে পদক্ষেপ করা হবে। আমাদের সকলকেই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।” দলের জেলা সভাপতি দীনেনবাবুর কথায়, “ক্ষমতা পাওয়া যে কতটা কঠিন, আমরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি। কেশপুর, গড়বেতা থেকে লালগড়। জেলায় কত সন্ত্রাস হয়েছে। কত কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষমতা পাওয়া যতটা কঠিন, ক্ষমতা ধরে রাখা আরও বেশি কঠিন।”
দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়ে আলাদা ভাবে একটি বৈঠক হয়। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়ার ক্ষেত্রে কেউ একতরফা সিদ্ধান্ত নেবেন না। কাউকে পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন না। এমন প্রতিশ্রুতি দিলে সেই দায়িত্ব জেলার উপর বর্তাবে না। নিজেকেই নিতে হবে। জেলা নেতৃত্বও প্রতিটি ব্লকে গিয়ে আলাদা ভাবে নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। |
|
|
|
|
|