আজ পুরপ্রধান নির্বাচন, ভোটাভুটিতে নেই ফ্রন্ট
০১২ সালের ২৭ অগস্ট, সোমবার। অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে খড়্গপুর পুরসভার বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত কাউন্সিলরা প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে মত জানান। এরপর অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। প্রায় এক বছরের মাথায় ফের ভোটাভুটির মুখোমুখি হচ্ছে তৃণমূল কাউন্সিলরা। কাকতালীয় ভাবে আজও দিনটা সোমবার। এ বার আর ভোটাভুটি এড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তাহলে কী পুরবোর্ড হাতছাড়া হতে চলেছে শাসক তৃণমূলের? ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস? না কি বিরোধী কাউন্সিলরদের একাংশের সমর্থন নিয়ে বোর্ড ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল?
সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ, সোমবার দুপুরের মধ্যে। তার আগে কংগ্রেস-তৃণমূল দুই শিবিরেই তৎপরতা তুঙ্গে। দু’দলই ‘ম্যাজিক ফিগার’ নিশ্চিত করতে ব্যস্ত। দুই শিবিরই পুরপ্রধান পদপ্রার্থীর নাম ঘোষনা করেছে। তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তুষার চৌধুরী। কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডে। আশাবাদী দু’পক্ষই। তুষারবাবুর কথায়, “ক্ষমতায় আমরাই ফিরছি।” আর রবিশঙ্করবাবু বলছেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের সমর্থন আমাদের দিকেই থাকবে।” অঙ্কে অবশ্য এগিয়ে কংগ্রেসই। কারণ, তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা বেশি। তবে রাজনীতির অঙ্ক যে বড্ড কঠিন। এক তৃণমূল কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর রেলশহরে এখন কাউন্সিলরের সংখ্যা ৩৪। এরমধ্যে তৃণমূলের ১৪ জন, কংগ্রেসের ১৪ জন, সিপিআইয়ের ২ জন, সিপিএমের ১ জন, বিজেপির ১ জন, নির্দল ১ জন। বাকি ১ জন কাউন্সিলর আগে সিপিআইয়ে ছিলেন। মাস কয়েক আগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন কংগ্রেসের পক্ষে রয়েছে। অন্যদিকে, ফ্রন্টের সিদ্ধান্ত, সোমবারের ভোটাভুটিতে দলীয় কাউন্সিলররা যোগ দেবেন না। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলর অনিতবরণ মণ্ডল বলেন, “আমরা পুরপ্রধান নির্বাচনের ভোটাভুটিতে থাকছি না।”
তবে আগের বার বিজেপি কাউন্সিলরের সমর্থন কংগ্রেসের দিকেই ছিল। এ বার? দলের জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পুরপ্রধান নির্বাচনে আমাদের অবস্থান নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। দলের সিদ্ধান্ত কাউন্সিলরকে মানতে হবে। না-হলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।” দলের এক সূত্রের দাবি, কংগ্রেস যদি বোর্ডে আসার পর তাদের একমাত্র কাউন্সিলরকে একটি দফতরের দায়িত্ব (সিআইসি) দিতে রাজি হয়, তাহলে তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন। যদিও কংগ্রেস এমন প্রস্তাবে সায় দিতে নারাজ। উল্লেখ্য, গত বছর ২৭ অগস্টের বোর্ড মিটিংয়ের পর রাজ্য সরকার একটি নির্দেশ জারি করে। রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে কংগ্রেস। গত ১৫ জুলাই হাইকোর্ট এক নির্দেশে জানায়, তিন সপ্তাহের মধ্যে বোর্ড মিটিং ডেকে খড়্গপুরে পুরপ্রধান নির্বাচন করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে এখন ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন উপপুরপ্রধান তুষারবাবু। রবিবার পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে অন্তত ১৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন যার দিকে থাকবে, সেই পুরসভার ক্ষমতায় আসবে। সে কংগ্রেস হোক কিংবা তৃণমূল। কিন্তু, এই দু’দলের কারওরই একক ভাবে সেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ নেই।
সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন? অপেক্ষায় রেলশহরের রাজনৈতিক মহল।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.