|
|
|
|
খড়্গপুরে পুরপ্রধান নির্বাচন |
তুষারকেই প্রার্থী করল তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
জহরলাল পাল নন, খড়্গপুরে পুরপ্রধান নির্বাচনে তৃণমূল শিবির থেকে তুষার চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করা হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
তুষারবাবু এখন ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বুধবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে এক বৈঠকে দলীয় কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “পুরপ্রধান নির্বাচনে তুষার চৌধুরী দলের প্রার্থী। তাঁর নামই প্রস্তাব করা হবে। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।” দলের এক সূত্রের অবশ্য দাবি, ভোটাভুটিতেই নাম স্থির হয়েছে। উপস্থিত ১৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১০ জন তুষারবাবুর পক্ষে ভোট দেন। ৩টি ভোট জহরবাবুর পক্ষে। একজন কাউন্সিলর জানিয়ে দেন, তাঁর কোনও মত নেই। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তিনি মেনে নেবেন।
এ দিন তৃণমূল ভবনের বৈঠকে দুই সাংসদ মুকুল রায়, সুব্রত বক্সী ছিলেন। গিয়েছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ, খড়্গপুর শহর সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী প্রমুখ। আগামী ৫ অগস্ট খড়্গপুরে পুরপ্রধান নির্বাচন। রেলশহরে তৃণমূলের পুরপ্রধান ছিলেন জহরলাল পাল। গত বছর অগস্টে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। ভোটাভুটির ফল নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। বিষয়টি মামলা-মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়ায়। গত ১৫ জুলাই হাইকোর্ট নির্দেশে দেয়, তিন সপ্তাহের মধ্যে বোর্ড মিটিং ডেকে খড়্গপুরে পুরপ্রধান নির্বাচন করতে হবে।
রেলশহরে মোট ৩৫টি ওয়ার্ড। এখন সরাসরি কংগ্রেস-শিবিরে রয়েছেন ১৬ জন কাউন্সিলর। তৃণমূল-শিবিরে ১৪ জন কাউন্সিলর। এখানে তৃণমূলের কোন্দলও রয়েছে। তৃণমূলের একাংশের মতে, পুরপ্রধান নির্বাচনে তুষারবাবুর নাম প্রস্তাব করা হলে একাংশ বিরোধী কাউন্সিলরও তাঁকে সমর্থন করবেন। কারণ, ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান হিসেবে তিনি ‘সফল’। দলমতের উপরে উঠে সকলকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছেন।
কে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন, তা নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নয় কংগ্রেস। প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডের কথায়, “আমাদের লড়াই একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। যে দলের নীতি-আদর্শ কিছু নেই। কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়।” পুরপ্রধান নির্বাচনে রবিশঙ্করবাবুই কংগ্রেসের প্রার্থী হবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
|
|
|
|
|
|