লালগড়ের নেতাই গ্রামে ঢুকে পড়ল দলমার পালের দলছুট দু’টি দাঁতাল হাতি। একটি বড় দাঁতাল হাতি, অন্যটি ছোট। রবিবার ভোরে ওই দু’টি হাতি ধানখেত মাড়িয়ে সটান নেতাই গ্রামের জানাপাড়ায় একটি ঝোপে ঢুকে পড়ে। নেতাই গ্রামের আশেপাশে কোনও জঙ্গল নেই। ফলে হাতি দু’টিকে দেখে হকচকিয়ে যান গ্রামবাসীরা। গ্রামের মোরাম রাস্তার দু’পাশের জমিতে ধান ও সব্জি চাষ চলছে। ফসল বাঁচাতে স্থানীয় চাষিরা হাতি দু’টিকে বাজি-পটকা ফাটিয়ে খেদাতে শুরু করেন। কিন্তু খেদাতে গেলে হাতি দু’টিও পাল্টা গ্রামবাসীদের দিকে তেড়ে আসতে থাকে। খবর দেওয়া হয় মেদিনীপুর বন বিভাগের লালগড় রেঞ্জে।
খবর পেয়ে সকাল ১০টা নাগাদ লালগড়ের রেঞ্জ অফিসার অমিয়ময় দে-র নেতৃত্বে বনকর্মীরা নেতাই গ্রামে পৌঁছন। কিন্তু হাতি দু’টি ততক্ষণে মাঠের ধান-সব্জি মাড়িয়ে নেতাই গ্রামের রায়পাড়ার দিকে চলে যায়। সেখানে একটি পুকুর লাগোয়া ঘন বাঁশঝাড়ের আড়ালে হাতি দু’টি লুকিয়ে যায়। গ্রামবাসী মহীতোষ পাল, অরুণ প্রতিহার ও নয়ন সেনদের কথায়, “খেদাতে গেলেই হাতিগুলি মারমুখী হয়ে ছুটে আসছিল।” বনকর্মীরা জানান, দিনের বেলা হাতিগুলিকে খেদাতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সন্ধের পর হাতিগুলিকে খেদিয়ে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তার আগেই বিকেল চারটে নাগাদ হাতিদু’টি নেতাই গ্রাম থেকে বেরিয়ে গিয়ে কংসাবতীর চর লাগোয়া বাঘাকুলির ঝোপে আশ্রয় নেয়। রাতে হাতি দু’টিকে খেদিয়ে শালবনির মহিষডোবার জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ওই জঙ্গলেই হাতির পালটি রয়েছে।
গত শুক্র ও শনিবার দু’দফায় গোয়ালতোড় রেঞ্জের জঙ্গল থেকে ৭০-৮০টি হাতি লালগড় রেঞ্জের অন্তর্গত শালবনি ব্লকের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। বন দফতরের অনুমান, গোয়ালতোড় থেকে লালগড় রেঞ্জে আসার সময় কোনও ভাবে দলমার পালের দু’টি দাঁতাল হাতি দলছুট হয়ে নেতাইয়ে ঢুকে পড়ে। হাতির পালটি রয়েছে লালগড় রেঞ্জের অন্তর্গত শালবনি ব্লকের মহিষডোবা গ্রামে। |