বাড়ি থেকে পালিয়েছিল দিন তিনেক আগেই। তার পরে নিজের অপহরণের গল্প ফেঁদে ব্যবসায়ী বাবার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। পুলিশ জানায়, মুক্তিপণ নিতে এসে লিলুয়া থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ, সোমবার তাকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশি সূত্রের খবর, বেলুড়ের ভোটবাগানের এক ব্যবসায়ীর ছেলে গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল। শনিবার একটি এসএমএসে ওই ব্যবসায়ী জানানো হয়, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে এক লক্ষ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, বার্তাটি পাঠানো হয়েছে হুগলির গুড়াপ থেকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েও পুলিশ ছেলেটির খোঁজ পায়নি। এর পরে অন্য একটি এসএমএসে ওই ব্যবসায়ীকে লিলুয়ার বড়গেটের কাছে মুক্তিপণের টাকা রেখে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফাঁদ পাতে পুলিশ। ‘অপহরণকারী’ টাকা নিতে হাজির হলে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ীর পলাতক ছেলেই ‘অপহরণকারী’! ওই কিশোরকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, বন্ধুর দামি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে খারাপ করে ফেলেছিল সে। তার পর থেকেই নতুন ফোনের জন্য ওই বন্ধু তার উপরে চাপ সৃষ্টি করছিল। সেই জন্যই অপহরণের এই নাটক কি না, যাচাই করছে পুলিশ।
|
এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই তরুণী ধৃতের দিদির বন্ধু। শনিবার রাতে পুড়শুড়ার সোদপুর থেকে শেখ রফিক নামে ওই যুবককে ধরা হয়। রবিবার ধৃতকে আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুড়শুড়ার শেখপাড়ার বছর সাতাশের ওই তরুণী গত ২৫ জুলাই কাছেই রফিকের বাড়িতে যান তাঁর দিদির সঙ্গে দেখা করতে। সন্ধ্যার পরেও মেয়ে না ফেরায় তরুণীর মা সেখানে যান। তিনি গিয়ে মেয়েকে অচৈতন্য ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। জ্ঞান ফিরলে ওই তরুণী রফিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তরুণীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই শেখ রফিক উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল। শেষ পর্যন্ত ফাঁদ পেতে তাকে ধরে পুলিশ।
|
পারিবারিক বিবাদের জেরে ছুরির ঘায়ে আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলে। তাঁদের উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুরে। ছুরি মারার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে স্থানীয় জনতা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, কোনও পক্ষই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেনি। |