|
|
|
|
রাজধানী থেকে নিখোঁজ রেলকর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হাওড়া থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন এক রেলকর্মী। সন্ধান পেতে রেল এবং পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে ওই রেলকর্মীর পরিবার। তিন মাস পরও তিনি নিখোঁজ। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন
|
পূর্ণচন্দ্র মাইতি |
রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, এই ব্যাপারে তাঁর যা করণীয়, তিনি করবেন।
হেল্পার-২ (টি/নং-৭৩৭) পদে চাকুরিরত ওই রেলকর্মী পূর্ণচন্দ্র মাইতি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা। হাওড়া থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে তাঁর ডিউটি থাকত। গত ২ মে তিনি ১২৩০১ আপ হাওড়া-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের বি-৭ (০৫১১৯) কোচে ডিউটিতে ছিলেন। ওই ট্রেন নিউ দিল্লি স্টেশনে পৌঁছনোর পর সুরেশ পাসওয়ান নামে ওই ট্রেনেই কর্তব্যরত অন্য এক রেলকর্মী তাঁর ঊর্ধ্বতন অফিসারকে ফোনে জানান, পূর্ণবাবু কোচে নেই। যে কোচে পূর্ণবাবুর ডিউটি ছিল, সেখানে যান ওই অফিসার। তিনিও পূর্ণবাবুকে দেখতে পাননি। এর পরে রেলকর্মীরা সমস্ত জায়গায় পূর্ণবাবুকে খোঁজেন। শেষ পর্যন্ত নিউ দিল্লি স্টেশনের জিআরপি-তে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। পাশাপাশি, দফতরের নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট সমস্ত আধিকারিককেই গোটা ঘটনা লিখিত ভাবে জানান।
পূর্ণবাবুর স্ত্রী রাণুবালা মাইতিও গোটা ঘটনা জানিয়ে এবং স্বামীর সন্ধান চেয়ে চিঠি লিখেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীরবাবু, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি-র অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল এবং আরপিএফ-এর প্রধান নিরাপত্তা কমিশনারকে। পাশাপাশি, থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছেন তিনি।
সমস্ত ঘটনা জেনে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীরবাবু বলেন, “রেল পুলিশ, প্রশাসন তো তদন্ত করছেই। তদন্তের কাজ যাতে দ্রুত হয়, তা আমি দেখব।” পূর্ণবাবুর স্ত্রীর আর্জি, তাঁর আর্থিক প্রাপ্য দ্রুত পাওয়ার বিষয়টিও যেন অধীরবাবু দেখেন। |
|
|
|
|
|