|
|
|
|
বৈঠক গগৈয়ের সঙ্গে |
অসমের মন্ত্রীদের কাজকর্মে নজর রাখবেন রাহুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অসমে সংখ্যালঘু উন্নয়নের কাজের অগ্রগতি নিয়ে ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি দিল্লিতে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকে রাহুল বলেছেন, অসমে চা জনগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের প্রকল্পগুলি ঠিকমতো রূপায়ণ করা হচ্ছে না। একইসঙ্গে রাহুল জানিয়েছেন, অসমের মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়নও করবেন তিনি। রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পর গগৈ জানিয়েছেন, এ বার থেকে তিনি নিজেই চা জনগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু উন্নয়নের কাজকর্মের তদারকি করবেন।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আগামী লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ‘ভোটব্যাঙ্ক’ কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে দিকে নজর রেখেই এগতে চাইছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কয়েক মাস আগে থেকেই গগৈয়ের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে দলীয় হাইকম্যান্ডে নালিশ ঠুকছেন চা গোষ্ঠীর নেতারা। গগৈ চা শ্রমিকদের সমস্যার দিকে নজর দিচ্ছেন না বলে তাঁরা অভিযোগ তুলছেন। এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসও দ্বিধাবিভক্ত।
গগৈ পাল্টা অভিযোগ করেছেন, আইন অনুযায়ী চা শ্রমিকদের যে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া বাধ্যতামূলক, সে সবের অনেক কিছুই বাগান মালিকদের একাংশ দিচ্ছেন না। শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে বাগান কর্তৃপক্ষগুলিকেই।
কিন্তু তা না-হওয়ার জেরেই অসন্তোষ বাড়ছে। গগৈ বলেন, “চা শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে।” সরকারি সূত্রের খবর, গগৈয়ের কাছে অসমের মন্ত্রীদের কাজকর্মের খতিয়ানও চেয়েছেন রাহুল। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের কয়েকজন বিধায়ক সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেছিলেন, মন্ত্রীদের অনেকেই কাজ না-করে গদি আঁকড়ে বসে রয়েছেন। প্রবীণরা নবীনদের জায়গা ছাড়তে চাইছেন না। নিজেরাও কাজ করছেন না। গগৈ বলেন, “মন্ত্রিসভার অদল-বদল নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। দক্ষ বা অদক্ষ
মন্ত্রীর বিষয়েও কথা হয়নি। দলীয় নেতৃত্ব এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে। তারপর, হাইকম্যান্ডই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।” |
|
|
|
|
|