সিপিএম ও তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার রাতে ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সিপিএমের দাবি, ধৃতরা তাঁদের সমর্থক। সিপিএমের কাটোয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ আমাদের কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই কাটোয়ার পুঁইনি গ্রামে শুরু হয়েছিল সিপিএম ও তৃণমূল সংঘর্ষ। শুক্রবার থেকে ওই গ্রামে পুনরায় গোলমাল শুরু হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকায় জেলা পরিষদ আসনে জয়ী হয়েছেন সিপিএমের বিপদতারণ মণ্ডল। সিপিএমের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে বিপদবাবু স্থানীয় সরগ্রাম থেকে পুঁইনি গ্রামে সাইকেলে করে গম পেষাই করতে যাওয়ার সময় তৃণমূল সমর্থকেরা তাঁকে মারধর করে। বিপদবাবু কাটোয়া থানায় তেরো জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগ জানান। এরপর শনিবার সিপিএম পুঁইনি গ্রামে প্রতিবাদ মিছিল করে। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই প্রতিবাদ মিছিল থেকে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয় সিপিএম। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মীদের খড়ের পালুইয়ে। চলে ভাঙচুর ও বোমাবাজি। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক চৈতালি হাজরা, মণিকা গড়াইয়ের অভিযোগ, “সিপিএমের তাণ্ডবে তৃণমূল সমর্থকেরা দু’দিন বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেনি।” রবিবার সকালে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তৃণমূলের কর্মীরা গ্রামের মোড়ে পাহারা দিচ্ছেন। তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, সিপিএমের দুষ্কৃতীদের হামলা রুখতেই তাঁরা পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির পাল্টা অভিযোগ করে সিপিএম নেতারা জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর থেকে পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ আক্রমণে প্রায় দেড়শো জন সিপিএম কর্মী গ্রামছাড়া। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
পুলিশ অবশ্য সিপিএমের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, “এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ টহল চলছে। অত্যাচারের কোনও প্রশ্ন নেই।” |