পড়তে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেল এক ছাত্র। আট দিন পরেও খোঁজ পাওয়া যায়নি একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম শুভাশিস গোলদার। কালনা থানা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভাশিসের বাড়ি কালনা শহরের ছোটমিত্রপাড়ায়। সে কালনা শহরের মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গত ২৭ জুলাই বিকেল চারটে পঁয়তাল্লিশ নাগাদ রসায়ন পড়তে যাবে বলে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোয় সে। পরনে ছিল নীল জিন্স এবং সবুজ গেঞ্জি। ব্যাগে ছিল রসায়ন বই এবং খাতা। রসায়ন বিভাগে নতুন এক শিক্ষকের কাছে পড়তে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। এর পর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি শুভাশিসের। ২৮ জুলাই কালনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের মামারবাড়ি আন্দামানে। ছোট থেকে সে সেখানেই থাকত। বছর চারেক হল নিজের বাড়িতে থাকছে। এ বছর মহারাজা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫০৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় সে। এর মধ্যে অঙ্ক-সহ তিনটি বিষয়ে লেটার পেয়েছিল শুভাশিস।
শুভাশিসের কাকা পলাশ গোলদার জানান, শুভাশিসের এক দাদা রয়েছে। দুই ভাইয়ের মধ্যে শুভাশিস ছোট। শুভাশিসের দাদা রাকেশ রাজস্থানে পড়াশোনা করছে। ঘটনার পর থেকে আত্মীয়, প্রতিবেশীদের বাড়িতে বারবার গিয়েও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই ছাত্রের। শুভাশিসের বাবা রতন গোলদার ধানচালের ব্যবসায়ী। মা অরুণা গোলদারের কথায়, “ছেলে চলে যাওয়ার পর থেকেই আমাদের রাতে ঘুম উড়ে গিয়েছে। কেন এমন হল তা বোঝা যাচ্ছে না।” এলাকাবাসী ছাড়াও স্কুলও চিন্তায় রয়েছে তাকে নিয়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রীমন্ত ঘোষ বলেন, “নিখোঁজ শুভাশিসের জন্য প্রতিটা দিন আমাদের উদ্বেগে কাটছে। জানিনা শেষ পর্যন্ত কী হবে।” আর শুভাশিসের বন্ধুরা? বন্ধুর খোঁজ যাতে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, তার জন্য তারা স্কুলের দরজা, রেলস্টেশন-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে। বাকি সবার মতো শুভাশিসের খোঁজ পাওয়ার আশায় রয়েছে তারাও। |