নদী পার হতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গেলেন এক যুবক। পাত্রসায়র থানার নহল্যা গ্রামের কাছে শালি নদীতে শুক্রবার সকালের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম আব্দুল কাদের। পাত্রসায়র থানার বাজিতপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে নদীতে জাল ফেলে, ডুবুরি নামানো হয়। দিনভর চেষ্টা করেও বছর ২৩-র যুবকের খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৭টায় বাজিতপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে জমিতে জলসেচের জন্য দেড় কিমি দূরে শালি নদীর ওপারে যান আব্দুল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গ্রামেরই যুবক করিম মিদ্যা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী করিম জানান, পাম্পের সাহায্যে নদী থেকে জমিতে জল দেওয়ার জন্য তাঁরা দু’জনে এ দিন সকালে শালি নদী পেরিয়ে ওপারে যান। তখন নদীতে বুক সমান জল ঠেলতে হয়েছিল। পরে পাম্প মেশিনের জন্য একটা পাইপ নিয়ে আসতে কাদের ফের নদী পেরিয়ে ওপারে নিজের গ্রামে যান। খানিক পরে তিনি পাইপ হাতে করে নদীতে নামেন। করিমের কথায়, “আমি অন্য পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ চোখের সামনে দেখি আব্দুল নদীর জলে তলিয়ে গেল। আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। হুঁশ ফিরতে চিৎকার করে আশপাশের লোকজনদের ডাকাডাকি শুরু করি। অনেকে ছুটে আসেন। জালও ফেলা হয়। কিন্তু কোথাও আব্দুলকে খুঁজে পাওয়া গেল না।” করিম জানান, হাতে পাইপ থাকায় সম্ভবত ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে না পেরে আব্দুল পড়ে যান। তার পর নদীর প্রবল স্রোতে তিনি ভেসে গিয়েছেন।
খবর পেয়ে নহল্যা, বাজিতপুর, ধগড়িয়া-সহ আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ শালি নদীর দু’পাড়ে জড়ো হন। স্থানীয় ভাবে নদীতে জাল ফেলে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই যুবকের সন্ধান মেলেনি। হামিরপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সৈয়দ আলি বলেন, “কাদেরের পারিবারিক অবস্থা ভালো নয়। গ্রাম ষোলো আনার বিঘে খানেক জমি এ বার চুক্তিতে চাষ করার জন্য নিয়েছিল। শালি নদীর ওপারে সেই জমি চাষ করতে গিয়েই বিপদে পড়লেন তিনি।”
শেখ আমজাদ আলির পাঁচ সন্তানের মধ্যে কাদের মেজো। দিনভর ছেলের খোঁজ না পেয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ আমজাদ আলি। কোনও রকমে বললেন, “কাদের তো অল্প সাঁতার জানত। কী ভাবে যে এমন ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। এতটা সময় পেরিয়ে গেল ছেলেটার কেন হদিশ পাওয়া গেল না।” কাদেরের স্ত্রী ও এক শিশুকন্যা রয়েছে। খোঁজ না মেলায় চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন কাদেরের পরিবার-সহ গ্রামের মানুষজন। পাত্রসায়রের বিডিও অপূর্বকুমার বিশ্বাস বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শালি নদীতে জাল ফেলে উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। খাতড়া থেকে দু’জন ডুবুরিকে এনে উদ্ধারের কাজে নামানো হয়। প্রশাসনের তরফে যাবতীয় চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।” তবে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর হদিশ মেলেনি।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বালিকার। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান থানার হাটপান্ডা গ্রামে বর্ধমান-কালনা রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চন্দনা সব্বর (৮)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বালিকা রাস্তার উপর খেলা করছিল। বর্ধমানগামী একটি মোটর বাইক ওই বালিকাকে ধাক্কা মারে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় ওই বালিকার। মৃতা বালিকার পরিবার বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর থেকে খেতমজুরের কাজ করতে বর্ধমানে এসেছেন। |