|
|
|
|
শনিবারের নিবন্ধ |
৫০, ৪৯, ৪৮, ৪৭...
আপনার পঞ্চাশ হল বুঝি! এই তো বয়স কমা শুরু। লিখছেন সংযুক্তা বসু |
কেউ সারাদিন ইন্টারনেট সার্ফ করছেন।
কেউ বা জিমে গিয়ে শরীরের কসরত করছেন সপ্তাহে পাঁচ দিন।
আর কেউ বা বিবিএম-হোয়াটসঅ্যাপে প্রতিমুহূর্তে যোগাযোগ রাখছেন সারা দুনিয়ার সঙ্গে।
শুনলে মনে হবে টগবগে তরুণতরুণীদের নিয়ে কথা হচ্ছে। তা কিন্তু নয়। বয়স সকলেরই পঞ্চাশ পেরিয়েছে। কিন্তু মনের বয়স সাতাশ। নীললোহিতের মতো। শুধু মনই নয়, শরীরেরও অফুরন্ত এনার্জি। ঠিক যেন ফিটনেস কনশাস জেন ওয়াই।
গায়িকা ইন্দ্রাণী সেন কথায়বার্তায়, সাজেগোজে এতটাই উচ্ছল আর রঙিন যে বোঝার উপায় নেই তাঁর বয়স ছাপ্পান্ন। এতটাই মুক্তমনা যে ছাত্রছাত্রীদের বলেন, আগে ছ’মাস লিভ টুগেদার করো। তার পর বিয়ে। “আমাকে অনেকে আজও দেখতে সুন্দর বলে। সাজের প্রশংসা করে। কেউ বা বলে, ইন্দ্রাণী, পরের জন্মে যেন তোমাকে পাই। আমি বলি তুমি তা হলে আমার লিস্টে একশো চার নম্বরে রইলে,” বললেন ইন্দ্রাণী। অন্য দিকে ষাট পেরিয়ে পঁয়ষট্টিতেও ভরা যৌবনা উষা উত্থুপ। তাঁর মতে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যদি কাজ বাড়ানো যায়, যৌবন আপনিই এসে ধরা দেবে। আর দরকার প্রেম। যত পারো ভালবাসা বাড়াও। ভালবাসাই যৌবনের উৎস। প্রৌঢ়ত্বে তা আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়ার জায়গা খুঁজতে হবে।
নবীন পঞ্চাশের উত্তাপ
সত্যি কথা বলতে কী পঞ্চাশ পেরোলেই পানসের ধারণা এখন তামাদি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এক বার কবি সুবোধ সরকারকে বলেছিলেন, “জানো সুবোধ, পঞ্চাশে পা দেওয়ার আগে কেমন একটা ভয় ভয় করে। কিন্তু পঞ্চাশের কোঠায় একবার ঢুকে যেতে পারলে দেখবে কেমন পট করে একটা আগুন জ্বলে উঠবে।”
সেই আগুন জ্বলে উঠেছে এখন তসলিমা নাসরিনের মধ্যেও। ইন্টারনেট খুললেই গোটা দুনিয়া তাঁর ঘরের ভেতর। সময়টা যেহেতু ফুরিয়ে আসছে, জীবনের সবটুকু রস আগ্রাসী ভাবে পেতে ইচ্ছে করে তাঁর। ফেসবুক-টুইটারে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখছেন। আইপ্যাডেও সমান সিদ্ধহস্ত। আর এ সব নিয়েই তিনি এখন দিব্যি আছেন বাহান্নতে।
নবীন পঞ্চাশের এই উত্তাপ যে কত মজাদার সে কথাই বলছিলেন সাতান্ন বছরের ‘যুবক’ দীপক সাহা। পেশায় মার্চেন্ট নেভি এই ইঞ্জিনিয়ার বললেন, “এখন আমি অনেক বেশি স্বাধীন। বছরে চার মাস জলে, বাকিটা দেশে। পরিবারকে কাছে পাচ্ছি। প্রত্যেক বুধবার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছি কোনও রেস্তোরাঁয় গিয়ে। অনুষ্ঠানে উৎসবে গ্যাদারিংয়ে যোগ দিচ্ছি। যেটা পুরোদমে সাগরে থাকার সময় সম্ভবই হত না। আমি বিবিএমে হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাটাচড। কত নতুন বন্ধু হচ্ছে। এই বেঁচে থাকার মজাই আলাদা।” |
|
নতুন জেনারেশনের হাত ধরে
যৌবন ধরে রাখার সব চেয়ে বড় উপায় ইয়ং জেনারেশনের কাজের প্রশংসা করা। এমনটাই মনে করেন ৫১তে পা রাখা শ্রীকান্ত আচার্য। বলছেন, “জীবনটাকে সংখ্যার হিসেবে মাপি না। কৌতূহল সামনের দিনগুলো কতটা উত্তেজক হবে তা নিয়ে। বিস্মিত হয়ে যাই নতুন ছেলে মেয়েদের গান শুনে, সঙ্গীতের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে তাঁরা কত রকম ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করছে তা দেখে। এই বিস্ময়বোধটাই যতক্ষণ বাঁচিয়ে রাখতে পারছি ততক্ষণ যৌবন।”
দেখা যাচ্ছে পঞ্চাশোর্ধ্বের মধ্যে জানার আগ্রহ সত্যিই অনেক বেড়ে গিয়েছে। যেমন বছর পঞ্চাশের সিদ্ধার্থ ঘোষ একটি বিখ্যাত বাঙালি রেস্তোরাঁ চেনের অন্যতম পরিচালক। নতুন জেনারেশনের জীবনযাত্রা, টেক স্যাভি মনোভাব তাঁকে মুগ্ধ করে। ছেলেমেয়ের বন্ধুবান্ধবীরাও তাঁর বন্ধু। বললেন, “যে হোটেলটা আমি পরিচালনা করি, ফেসবুকে কমিউনিটি তৈরি না করলে কাস্টমার বাড়ত না। আসল কাস্টমার তো জেন ওয়াই। তাদের কাছে পৌঁছতে প্রতি মুহূর্তে ভরসা ফেসবুক।”
ফিফটি প্লাসের সোনার কাঠি জিমে
পঞ্চাশের নতুন এই যৌবনকে ধরে রাখতে বড় কর্পোরেট সংস্থার ডিরেকটর তিপ্পান্ন প্লাস মৃণাল নন্দী সপ্তাহে পাঁচ দিন জিমে যান। ডায়েট কনট্রোল করে আরও চনমনে থাকেন। বলছিলেন “এখন জীবনটা যেন আরও অনেক বেশি রঙিন। ছেলের সঙ্গে বসেও ড্রিঙ্ক করি। এ সব তো আগেকার দিন হলে ভাবাই যেত না।” আর যৌবনের মতো প্রেমে পড়েন? উত্তরে হেসে মৃণাল বললেন,“বার বার আমি একই নারীর প্রেমে পড়ি। সে আমার স্ত্রী। মাঝে মাঝে অফিস থেকে ফোন করে বলি কাজ আছে, চলে এসো। ও চলে আসে। এদিক সেদিক খানিক ঘুরে ক্লাবে যাই। বলি কী খাবে বলো?” ও বলে, “‘এটা তোমার কাজ?” অল্পবয়েসিদের মতো এই সব সারপ্রাইজ দেওয়ার প্রবণতা দিনদিন বাড়ছে আমার।” কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় কোম্পানির উঁচু পদের দায়িত্ব তো বাড়ে। সেই স্ট্রেস সামলান কী ভাবে? “আমি অফিসে এবং নিজের ঘরে লিখে রেখেছি একটা কথাআর ইউ পার্ট অব এ প্রবলেম? অর আর ইউ হিয়ার উইথ সলিউশন?’ এই কথাটা আমাকে স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে। বন্ধু বান্ধবের বৌ বা অন্য নারী ব্যায়াম করা শরীরের, চেহারার প্রশংসা করলে বেশ রোমাঞ্চ হয়,” চটজলদি উত্তর মৃণালের। |
শরীরের সুখ |
• সঠিক ডায়েট অনুসরণ করবেন। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিনের অনুপাত যেন ঠিক থাকে। নিউট্রিশনিস্টের কাছে জেনে নিন।
• সিগারেট একদম বন্ধ। সুরা হলে ৬০ থেকে ৯০ মিলিলিটার সপ্তাহে।
• ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্রিস্ক ওয়াকিং সপ্তাহে ছ’দিন। বৃষ্টি হলে বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড বা যোগব্যায়াম
• দিনে চা, ফলের রস, প্লেন জল ধরে তিন থেকে চার লিটার জলপান অবশ্যই
• ব্লাডপ্রেশার ও সুগার থাকলে নিয়মিত চেক আপ। শরীর যদি একেবারে সুস্থ থাকে বছরে একবার সম্পূর্ণ হেল্থ চেক আপ
• স্বাভাবিক শারীরিক মিলনে শরীর মন দুই ভাল থাকবে। সেক্সের ক্ষেত্রে একেবারেই বুড়িয়ে যাওয়া অনীহা দেখাবেন না |
পরামর্শ: ডা. রাজীব শীল |
|
পঞ্চাশের অষ্টাদশীরা
সদ্য পঞ্চাশের সীমাকে পেছনে ফেলে এসেছেন বাচিক ও আবৃত্তি শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। জীবনের এই সন্ধিক্ষণে এসে সিনেমা থেকে কবিতা থেকে নাটক সব কিছুর প্রতি আগ্রহ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। বাড়ি ভর্তি আট থেকে আশির ছাত্রছাত্রী। “তাঁরা আমাকে দেখে বলে দিদি আপনার যে বয়স হচ্ছে দেখে তো একেবারেই মনে হয় না। এই প্রশংসা, অনুপ্রেরণা আমার যৌবন যেন আরও বাড়িয়ে দেয়,” উত্তর দেন ব্রততী। অবসর কাটে কী করে? “ এই যে নানা মাধ্যমের শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে তাতে তো নানা ধরনের শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগও বেড়ে গিয়েছে। সৃজনশীল নতুন পরিবেশের মধ্যে হঠাৎ এই উত্তর-পঞ্চাশে যেন বেশি করে ঢুকে পড়েছি। মনটাকে যত বেশি ক্রিয়েটিভিটির সঙ্গে যুক্ত করছি ততই যেন তারুণ্যের উদ্যম বাড়ছে। সেই সঙ্গে যোগব্যায়াম রোজ করি।” অন্য দিকে আর এক বাচিক শিল্পী মধুমন্তী মৈত্র। লাইফ বিগিনস অ্যাট ফিফটি শুনে দারুণ উত্তেজিত হয়ে বললেন, “একদম ঠিক কথাটা। কিছু দিন হল আমি পিএইচ ডি-টা শেষ করলাম। আজ পঞ্চাশের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যতটা পরিণত অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজটা করলাম, সেটা আজ থেকে পনেরো বছর আগে হলে হত না। নিয়মিত স্টেজ শো করি। মাঝে মাঝে হাঁটু -পায়ে ব্যথা হবে না এটা আশা করাই ভুল। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম করে ফিট থাকার চেষ্টা করছি বলেই এখনও সচল। মেয়ে বড় হচ্ছে বলে আমি বুড়িয়ে যাচ্ছি এটা কিন্তু মনে হচ্ছে না।”
স্বাধীন যৌবনের শুরুয়াত পঞ্চাশেই
অভিজ্ঞতা আর পরিণত মানসিকতাই পঞ্চাশ যৌবনের পরশপাথর। মনে করেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম খাস্তগীরও। বয়স তিপ্পান্ন। পঁচিশ বছর বয়স থেকে পঞ্চাশ অবধি ছিল কাজে ব্যস্ত ঘোড়দৌড়ের জীবন। এখন পেশায় স্থিতি এসেছে। বললেন, “কাজের স্থিতির পাশাপাশি ছেলেও বড় হয়ে গিয়েছে। আমি আর আমার স্ত্রী মিলে প্রায়ই এখানে ওখানে বেড়াতে চলে যাচ্ছি। পিছুটান কমে আসায় পঞ্চাশের স্বাধীন যৌবনটা দুর্দান্ত উপভোগ করছি।” সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা বলছেন পঞ্চাশ পার করা মহিলা কাস্টমারদের ভিড় লেগেই থাকে তাঁর পার্লারে। তাঁর মতে আজকাল ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখার এত রকম উপায় বেরিয়েছে যে যৌবন ধরে রাখার এই সুবর্ণ সুযোগ কিছুতেই হারাতে চাইছেন না পঞ্চাশ পার করা নারীপুরুষেরা।
শর্মিলার পার্লারেই আলাপ হল রীনা দাশগুপ্তের সঙ্গে। পঞ্চান্নতেও ফ্যাশনেবল, টানটান গড়ন। হাতে পরেছেন গোছা গোছা রুপোর চুড়ি। বিডসের মালা গলায়। যেন হালফিল তরুণী।
বললেন, “বয়স বাড়ছে কই? কমছে মনে হচ্ছে। ফেসবুকে সব সময় থাকি। কত পুরনো বন্ধুর সঙ্গে ফের যোগাযোগ হয়ে যৌবনের দিনগুলো যেন ফিরে পেয়েছি। বিবিএমটাও করছি কখনও কখনও। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে যাচ্ছি, সিনেমায় যাচ্ছি, বেড়াতে যাচ্ছি।”
কিন্তু পঞ্চাশ পার করলে মাথায় পাকা চুল তো উঁকি দেবেই। রং করে চুলে কালো ভাব ফিরিয়ে আনা যায় ঠিকই কিন্তু সে তো আর স্থায়ী হয় না। তারও তো একটা দুঃখ থাকে। বাহান্ন বছরের সমাজকর্মী রত্নাবলী রায় মনে করেন পাক ধরা চুল নিয়ে মানুষের কাছে গেলে তাঁরা কথা শোনেন। মান্যিগন্যি করেন। পঞ্চাশ পার করলে নতুন হেয়ার স্টাইল হতেই পারে ঈষৎ স্টাইলাইজড কাঁচাপাকা চুল। মাঠ ময়দান, গ্রামগঞ্জ দাপিয়ে সমাজ সংস্কারের কাজ করতে বেছে নেন জিনস কিংবা সারং। |
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কাজ যদি বাড়ানো যায়, যৌবন আপনিই এসে ধরা দেবে। আর দরকার প্রেম। ভালবাসা বাড়াও।
উষা উত্থুপ |
অবাক হই নতুন ছেলেমেয়েরা গান নিয়ে কত রকম ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করছে, তা দেখে। বিস্ময়বোধটাই যৌবন
শ্রীকান্ত আচার্য |
আমি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ওদের সমবয়সি হয়ে গল্প করি। বলি, আগে ছ’মাস লিভ টুগেদার করো তার পর বিয়ে
ইন্দ্রাণী সেন |
মনটাকে যত বেশি সৃজনশীল রাখা যায় ততই তরতাজা লাগে। সেই সঙ্গে রোজ যোগব্যায়াম করি
ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় |
পঞ্চাশের পরিণত অভিজ্ঞতায় যৌবনটা নির্ভুল হয়ে ধরা দিচ্ছে। এই যৌবন আত্মবিশ্বাসে দৃপ্ত
মধুমন্তী মৈত্র |
|
নতুন শখ, নতুন সম্পর্ক
যেহেতু এই পরিণত বয়সে কাজের ধরনটা পাল্টায়, স্থিতিশীলতা আসে অনেকেই তখন আগামী দিনগুলিকে রঙিন করার জন্য বেছে নেন নতুন নতুন শখ। যেমন করছেন বিশাল হোটেল চেনের কর্ণধার অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। বয়স চুয়ান্ন। মুম্বইয়ের বাসিন্দা। ওজন ঝরাতে হয়ে গিয়েছেন সাইকেল অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বার। প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে যান তাজ গেট পর্যন্ত। বললেন, “এটাও তো অন্য ভাবে জীবনকে দেখার আনন্দ। তা ছাড়া এখন সম্পর্কগুলোকেও চিনতে শিখছি। আগের চেয়ে কাজে অনেক থিতু বলে বৌকে বুঝতে পারছি। সম্পর্কগুলো এখন অন্য মানে পাচ্ছে।” নতুন শখের পাল্লায় পড়ে ষাটোধ্বর্র্র্ রূপঙ্কর সরকার অবসরের পর সাবেকি অ্যানালগ ক্যামেরা ছেড়ে ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলছেন। নতুন নেশা তাঁর বার্ড ওয়াচিং। ছুটছেন নানা জঙ্গলে, পাহাড়ে পাখি দেখতে আর তাদের ‘ক্যানডিড’ ছবি তুলতে। এই দলেই পড়ছেন এক সময়কার তোপসে সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়। বয়স ৫৩। স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবসায় থেকেও সিনেমার প্রতি প্রবল আগ্রহ। বললেন, “একটা সিনেমা পরিচালনা করব তার তোড়জোড় করছি।” এই বয়সে এসে প্রথম সিনেমা?
যৌবনের মেয়াদ বাড়ছে। অবসরের পরে কী
এই যে ইউথফুলনেস, যৌবনের প্রাণবন্ততা পঞ্চাশ, ষাট সত্তরেও থেকে যাচ্ছে এটাকে সমাজতত্ত্ববিদ অভিজিৎ মিত্র ব্যাখ্যা করছেন এই ভাবে, যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আয়ু বাড়ছে। “কিন্তু আমার প্রশ্ন এটাই, যৌবন তো ষাটের পরেও অনেকেই ধরে রাখছেন, কিন্তু রিটায়ারমেন্টের বয়স তো বাড়ছে না। ষাটের পর তা হলে সৃজনশীল ভাবে মানুষ কী ভাবে বাঁচবে সে বিষয়ে সরকারকে এবং বিভিন্ন সংস্থাকে উদ্যোগী হতে হবে। তা না হলে এই বাড়তি যৌবনের কোনও মানেই থাকছে না, ” বলছেন অভিজিৎ।
পঞ্চাশ থেকে একটা নতুন যৌবন শুরু হয়, তার অগুনতি উদাহরণ চোখের সামনে। এ সব পড়ে পঞ্চাশ উত্তর পাঠকপাঠিকারা যারা এখনও তারুণ্যে ভাসছেন তাঁরা নিশ্চয়ই আরও উদ্দীপনা পাচ্ছেন। আর যাঁদের মধ্যে নীললোহিত উত্তেজনার সঞ্চার এখনও ঘটেনি। বয়স বাড়ায় একটু যেন গুটিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা কি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন? বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পৃথিবীর অনেক কিছুই যে এখনও উপভোগ করা বাকি। |
|
|
|
|
|