|
|
|
|
|
|
|
আপনার সাহায্যে ২... |
|
|
যমজ সামলাতে গলদঘর্ম
একটাই সামলানো যায় না। আপনার আবার কিনা যমজ বাচ্চা। কী করবেন?
পরামর্শে ডা. ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বললেন রুমি গঙ্গোপাধ্যায় |
|
প্র: অনেকেরই যমজ বাচ্চা হচ্ছে। এক জনকে সামলাতেই হিমশিম। দু’জনকে একসঙ্গে সামলাব কী করে?
উ: প্রথম প্রথম কঠিন মনে হবে। একটু কষ্টও হবে বটে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক সয়ে যাবে। সম্ভব হলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আয়ার সাহায্য নিন।
প্র: এক জন ছেলে আর অন্য জন মেয়ে হলে কোনও সমস্যা হতে পারে কি?
উ: না, আলাদা করে কোনও সমস্যা হবে না। দুটো মেয়ে বা দু’টো ছেলে হলে যেমন, একটা ছেলে আর একটা মেয়ে হলেও একই ব্যাপার।
প্র: যত্নের ক্ষেত্রে কি আলাদা করে কিছু মাথায় রাখতে হবে?
উ: বললাম তো, একই ব্যাপার। শুধু দু’জনের যত্নে কোনও খামতি না হয়, সে দিকে নজর রাখবেন। একসঙ্গে বিছানা নষ্ট করলে খেয়াল রাখবেন এক জনকে পরিষ্কার করতে গিয়ে অন্য জন যেন ভিজে অবস্থায় না থাকে। চুলকানি হতে পারে। সর্দি-কাশিও হতে পারে।
প্র: তবে কি রাতেও ডায়পার পরিয়ে রাখব?
উ: অন্য কোনও সাহায্যকারী না থাকলে তাই-ই করতে হবে। মনে করে তিন ঘণ্টা অন্তর অন্তর ডায়পার বদলে দেবেন। |
|
প্র: দু’জনকে একসঙ্গে খাওয়াব কী করে?
উ: প্রথম থেকেই ওদের জন্য আলাদা করে একটা নিয়ম তৈরি করুন। এক জন বারোটায় খেলে আর এক জনকে সাড়ে বারোটায় খাওয়ান। সব ব্যাপারেই এ রকম একটা অভ্যাস করে নিলে সমস্যা কম হবে।
প্র: দু’জনকে কি একসঙ্গে রাখা উচিত?
উ: হ্যাঁ। তাতে কোনও অসুবিধে নেই। বরং ওদের সামলানো সুবিধে হবে। কিন্তু ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, চিকেন পক্স বা হামের মতো বড় কোনও সংক্রমণ হলে ওদের আলাদা করে রাখবেন। সর্দি-কাশি হলেও।
প্র: রাতে এক জন ঘুমোলো আর এক জন যদি না ঘুমোয়?
উ: যদি দেখেন যে বাচ্চাটি ঘুমোচ্ছে, তার সমস্যা হচ্ছে, তবে আলাদা ঘরে শোওয়াতে হবে। যদিও এটা বেশ ঝামেলার। কিন্তু বেশি অসুবিধে হলে এ রকম কিছু করতেই হবে।
প্র: বুকের দুধই তো খাওয়াতে হবে?
উ: অবশ্যই। প্রথম ছয় মাস। বুকের দুধ খেলে আলাদা করে জল খাওয়ানোরও প্রয়োজন হয় না।
প্র: বুকের দুধ পর্যাপ্ত না হলে?
উ: মা ভাল করে খাওয়াদাওয়া করলে এ রকম হওয়ার কথা নয়। সমস্যা হলে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলবেন।
প্র: কতক্ষণ পর পর খাওয়াব?
উ: দু’-তিন ঘণ্টা অন্তর অন্তর। তবে বাচ্চার খিদে পেলে খাওয়ানোই ভাল। কাঁদলে বুঝবেন খিদে পেয়েছে। |
কী ইনজেকশন কত দিনে |
• জন্মের সময়: হেপাটাইটিস বি, পোলিয়ো, বিসিজি।
• ছয় সপ্তাহ: ট্রিপল অ্যান্টিজেন, পোলিয়ো, ডিপিটি, এইচআইবি
• দশম সপ্তাহ: ট্রিপল অ্যান্টিজেন, পোলিয়ো, ডিপিটি, এইচআইবি
• দুই ও তিন মাস: রোটা ভাইরাস
• নয় মাস: মিজলস
• ১৫তম মাস: চিকেন পক্স
• ১৮তম মাসে: হেপাটাইটিস-এ
• ২ বছর: টাইফয়েড |
|
প্র: এখন যা আবহওয়া, এই বৃষ্টি এই রোদ। বাচ্চাদের স্নানের ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনও সাবধানতা নিতে হবে কি?
উ: স্নান বাদ দেবেন না। উষ্ণ জলে স্নান করাবেন। সাবান মাখাতে পারেন। কিন্তু এক মাস বয়সের আগে তেল মাখাবেন না।
প্র: দু’জনেই একসঙ্গে কাঁদলে কী করব?
উ: এ ক্ষেত্রে বাড়ির কারও সাহায্য চাই। কী কারণে বাচ্চা কাঁদছে সেটা বুঝে নিয়ে সমস্যা মেটাতে হবে। খিদে পেলে, বিছানা ভিজিয়ে ফেললে অথবা পেট ব্যথা হলে বাচ্চা কাঁদে। আর যদি ক্রমাগত কেঁদেই যায়, তবে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
প্র: বাচ্চাদের কী করে ভাল রাখব?
উ: প্রথমেই বলি দু’টো বাচ্চাকে সমান মনোযোগ দেবেন। একটি ছেলে অন্যটি মেয়ে হলে ছেলেটিকে বেশি মনোযোগ দিলেন, এ রকম যেন না হয়। তাতে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে ঈর্ষার সম্পর্ক তৈরি হবে। মা’র সঙ্গে বাচ্চার সম্পর্ক নিবিড় হতে হবে। বাবাকেও বাচ্চাদের সঙ্গে ভাল রকম সময় কাটাতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঠিক মতো মেনে চলবেন। সময় মতো বাচ্চাদের জরুরি টিকাগুলো দিয়ে দেবেন।
প্র: আর?
উ: যমজ বাচ্চা হলে খরচ তো বেশি হয়। তাই বাচ্চাদের স্বাস্থ্যবিমা করে রাখলে ভাল হয়।
প্র: যমজ বাচ্চা দেখলে অনেকেই আদর করতে চান। নবজাতকের কোনও সমস্যা হতে পারে কি?
উ: বাচ্চার ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে। তাই যে কেউ বাচ্চাকে আদর করতে চাইলেই দিয়ে দেবেন না। নিজেরাও যখন বাচ্চাকে ধরবেন তার আগে ভাল করে হাত ধুয়ে নেবেন। বাইরে থেকে এসে জামাকাপড় না ছেড়ে বাচ্চাকে ধরবেন না। |
সামলাতে |
• প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আয়ার সাহায্য।
• দরকার হলে দুই জনকে আলাদা ঘরে।
• নির্দিষ্ট সময় নিয়ম করে ডায়পার বদলানো।
• একসঙ্গে কাঁদলে বাড়ির কারও সাহায্য নেওয়া। |
|
|
|
|
|
|